cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
কয়েক দিন ধরেই সূর্যে উথালপাথাল পরিস্থিতি। সৌরঝড় নিয়ে আগেও সতর্ক করেছে নাসা। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সেই সতর্কবার্তা সত্যি করে পৃথিবীর গায়ে এসে লাগল সৌরঝড়ের ধাক্কা। এই ঝড়ের ফলে পৃথিবীর বুকে একাধিক দেশের আকাশে দেখা গেছে অভিনব মেরুজ্যোতি।
সৌরঝড়ের ফলে সূর্যের মধ্যেকার আগুনে পদার্থ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় চারদিকে। মহাকাশে সৌরজগতের অন্যত্রও সেই পদার্থের বিচ্ছুরণ ঘটে। প্রভাব পড়ে সূর্যের বিভিন্ন গ্রহ ও উপগ্রহের পারিপার্শ্বিকে।
পৃথিবীর উপরেও সম্প্রতি সৌরঝড়ের প্রভাব পড়েছে। সূর্যের ঝড়ের ফলে বিচ্ছুরিত সৌরপদার্থের ধাক্কা এসে লেগেছে পৃথিবীর চৌম্বকীয় তরঙ্গে। যার ফলে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
আমেরিকার ন্যাশনাল ওসানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নোয়ার তরফে জানানো হয়েছে, সৌরঝড়ের ধাক্কায় পৃথিবীর চৌম্বকীয় তরঙ্গে ঝড় উঠেছে। উথালপাথাল তরঙ্গের সৃষ্টি হচ্ছে তাতে।
রোববার রাত থেকে এই ভূ-চৌম্বকীয় তুফান শুরু হয়েছে। যা চলবে সোমবার সারা দিন। এই ঝড়ের ফলে পৃথিবীর বুকে একাধিক দেশের আকাশে দেখা গেছে অভিনব মেরুজ্যোতি।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রোববার রাতে আকাশে মেরুজ্যোতির ছটা লক্ষ্য করা গেছে। মহাজাগতিক আলোয় ছেয়ে গিয়েছিল আকাশের একাংশ। দক্ষিণ ইউরোপ, এমনকি ফ্রান্স পর্যন্ত এই মেরুজ্যোতির ঝলক দেখা গিয়েছে।
চিনের আকাশে উজ্জ্বল লাল রঙের মেরুপ্রভা দেখতে পেয়েছেন অনেকে। বার্লিনে রাতের আকাশে দেখা গিয়েছে গাঢ় সবুজ রঙের আলো। এমন দৃশ্য আগে কখনও দেখা যায়নি বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। একই দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে পোল্যান্ডও।
সৌরঝড়ে সূর্যের কেন্দ্র থেকে প্লাজমা এবং চৌম্বকীয় তরঙ্গের বিরাট বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়। এর ফলে কোটি কোটি সৌরপদার্থের কণা চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যেতে থাকে।
এই বিস্ফারিত সৌরপদার্থের কণাগুলি মহাকাশে ঘণ্টায় ৩০ লাখ কিলোমিটার বেগে পরিবাহিত হতে পারে। সেগুলি যদি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, বিপদের সম্ভাবনা থেকে যায়। সেই আশঙ্কাতেই সতর্কতা জারি করেছিল নাসা।
সৌরঝড়ের ধাক্কায় পৃথিবীতে ঠিক কী কী ক্ষতি হতে পারে? বিজ্ঞানী এবং গবেষকেরা জানিয়েছেন, এর ফলে পৃথিবীতে বৈদ্যুতিন এবং চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে নানা ধরনের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, সৌরঝড়ের ফলে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে ফাটল ধরতে পারে। যার প্রভাবে জিপিএস, বেতার যোগাযোগ সাময়িক ভাবে বিচ্ছিন্ন হতে পারে। ঝড়ের মাত্রা অনুযায়ী এই প্রভাব দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীর ইন্টারনেট সংযোগের উপরেও। মোবাইল নেটওয়ার্কও এর ফলে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও সাময়িক ভাবে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হওয়াও অসম্ভব নয়।
ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের প্রভাব জোরালো হলে পৃথিবীতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। সাম্প্রতিক সৌরঝড়ের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ঝড়ের ঝাঁজ অনুযায়ী একে জি৪ শ্রেণির তকমা দেয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, জি৪ শ্রেণির ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের ফলে বিশ্বব্যাপী বিদ্যুতের ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ সমস্যার মুখে পড়তে চলেছে। ক্ষতি হতে পারে বেশ কিছু নিরাপত্তামূলক প্রযুক্তির পরিচালনাতেও।
এ ছাড়াও, সূর্য থেকে ছড়িয়ে পড়া আয়নিত কণাগুলি পৃথিবীর তরঙ্গে ধাক্কা দিলে বৈদ্যুতিক স্রোত তৈরি হয়। বিভিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইনে সেই স্রোত গিয়ে ব্ল্যাকআউটের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে এর ফলে।
Leave a Reply