cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
দেশে সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়ার পর সিলেট নগরীর বাজারে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।
সিলেটের পাইকারি বাজার কালীঘাট ও মহাজনপট্টিতে সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। অনেক দোকানে সয়াবিন তেল থাকলেও প্রকাশ্যে রাখা হচ্ছে না। তবে ক্রেতারা জিজ্ঞাসা করার পর দরদাম হলে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো দোকানে সয়াবিন তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য কিনতে বলা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, গত বৃহস্পতিবার সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হবে ১৯৮ টাকায়। আর ৫ লিটারের বোতলের দাম হবে ৯৮৫ টাকা। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা এবং খোলা পাম তেল প্রতি লিটার ১৭২ টাকায় বিক্রি হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সিলেটের সব কটি পাইকারি ও খুচরা দোকানে তেলের গায়ে পুরোনো মূল্য লেখা থাকলেও সেগুলো বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে। মহাজনপট্টিতে ইনসাফ স্টোর নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পর সয়াবিন তেলের কথা জিজ্ঞাসা করতে বিক্রেতা বলেন, ‘বাজারে তেল নেই। কোম্পানি অর্ডারই কাটেনি। তেল পাইমু কই?’ পাশের দোকান আলম ব্রাদার্সে ১৬ লিটারের পাম ও সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছিল। পাম তেলের দাম ২ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা।
কালীঘাট এলাকার হাজী বশর উদ্দিন নামের দোকানে ৫ লিটার সয়াবিন তেলের কিছু বোতল দেখা যায়। তেল কত টাকা জিজ্ঞাসা করলে বিক্রেতা বলেন, ৯৮০ টাকা। তবে ওই বোতলের গায়ে ৭৬০ টাকা লেখা ছিল। বোতলে লেখা মূল্যের তুলনায় বেশি দামে বিক্রির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কেনা দামে তো বিক্রি করতে পারব না।
কালীঘাটে আরেক ব্যবসায়ী ফেরদৌস অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের প্রতিষ্ঠানে ৫ লিটারের সয়াবিন তেল কত টাকায় বিক্রি করছেন জানতে চাইলে ব্যবসায়ী নুহেল আহমদ বলেন, ‘আমরা অন্য মাল না নিলে তেল বিক্রি করছি না।
নগরীর সুবিদবাজার এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আলী হোসেন মহাজনপট্টিতে গিয়ে তেলের সন্ধান করছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, বাজার ঘুরে দেখলেন ১ লিটার তেলের দাম ১৮২ টাকা। এ ছাড়া ৫ লিটার তেলের দাম ৮৫০ টাকা। এখন কিছু কিনে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মহাজনপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী মেসার্স আমীন ব্রাদার্সের পরিচালক আমীন উদ্দিন বলেন, বাজারে তেল বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্ডার নেওয়া বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে তেল নেই। তবে আশা করছেন, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে বাজারে তেলের সংকট কেটে যাবে। তিনি আরও বলেন, বাজারে আগের দামে যে তেল রয়েছে, সেগুলো কয়েক হাত বদল হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ, চাহিদা রয়েছে, কিন্তু বাজারে তেল নেই। তেলের দাম বাড়ার কথা বেশ কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো সংকট দেখিয়ে বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এখন দাম বাড়ায় বাজারে তেল সরবরাহ বাড়বে।
নগরীর ১৫টি খুচরা দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ১০টি দোকানে তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। কিছু দোকানে তেল রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি দোকানের ব্যবসায়ী সেগুলো নিজেদের ব্যবহারের জন্য রেখে দিয়েছেন বলেও জানান। এক দোকানি বলেন, এখন বাজারে তেলের দাম বেশি আর কিছুদিন পর কিনতে আসেন।