cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
দু’দশক ধরে অটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা কে সরবানন নামে একজন নির্বাচিত হলেন তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুর জেলার কুম্বাকোনাম পৌরসভার মেয়র। শুধু তাই নয় মেয়র পদের শপথ নিতে তিনি নিজেই অটো চালিয়ে যান। কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানো এ ব্যক্তির জীবন কাহিনী হার মানাবে যে কোনো সিনেমার গল্পকেও।
কে সরবানন খুব অল্প বয়সেই মা-বাবাকে হারান। এরপর সে বড় হয়েছেন মানুষ দাদু-ঠাকুমার কাছেই পড়াশোনাও করেছেন দশম শ্রেণি পর্যন্ত। তারপর পড়াশুনোর পাট চুকিয়ে রোজগারের পথ খুঁজতে নামেন সরবানন।
সরবানন তামিলনাড়ুর থুক্কামপালায়মে একটি ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী এবং তিন সন্তানের সঙ্গে বসবাস করেন। অটো চালিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভালই সংসার চলছিলো তার। তবে বাধ সাধল মহামারী করোনা। করোনার লক ডাউনে তার আয় অনেকটাই কমে যায়। তলানিতে ঠেকে জমা পুঁজিও।
সারাদিনে মাত্র ২০০ টাকা আয় করাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছিলো তার জন্য। তখন এই চরম আর্থিক অনটনের মুখে সরবাননের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। তাকে খাদ্য এবং অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন তারা।
আজ সেই সরবাননই কুম্বাকোনাম পৌরসভার প্রথম মেয়র হিসাবে নিযুক্ত হলেন। কেউই হয়তো ভাবেননি যে এই দিন আনা দিন খাওয়া সদা হাস্যময় এই মানুষটি একদিন এ শহরের মেয়র হবেন।
কুম্বাকোনমের আগে পৌরসভা ছিলো না। সম্প্রতি কুম্বাকোনম শহরকে নতুন পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করে প্রশাসন। ভারতের অন্যতম এই মন্দির শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন সরবানন। তিনি মোট দু’হাজার একশো ভোটের মধ্যে ৯৬৪ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন।
বলতে গেলে সখের বসেই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এই জয় সরবানন নিজেও আশা করেননি। বরং তার প্রতিদ্বন্দ্বী আরও বেশ কয়েক জন হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন যাদের জেতার সুযোগ আরও বেশি ছিলো।
নির্বাচনে জেতার পর তাকে মেয়র পদে বসার কথা বলা হলে তিনি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানান যে তিনি এক জন অটো চালক, এবং তার মেয়র হওয়ার যোগ্যতা নেই। কিন্তু তখন উচ্চপর্যায়ের নেতারা তাকে জানান যে তিনিই এই পদের জন্য যোগ্য ব্যক্তি। এরপর মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণের দিন নিজের অটো চালিয়েই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন সরবানন।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সরবানন জানিয়েছেন, মেয়রের ক্ষমতা পাওয়ার পর তার প্রধান লক্ষ্য, ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থার কাজ সম্পূর্ণ করা। এ ছাড়াও মানুষের সুবিধার্থে খারাপ রাস্তা মেরামত, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং রাস্তায় পর্যাপ্ত আলোর মতো মৌলিক সুবিধাগুলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া।