সর্বশেষ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

‘পড়া না পারায় হুজুর আমারে পিডাইয়া হাত ভাইঙ্গা দিছে’

বরগুনার আমতলীতে দারুল আরকা’ম মডেল মাদরাসায় অধ্যয়নরত আবদুল্লাহ (৬) নামে এক নুরানী শাখার ছাত্রকে পড়া না পারায় মাদরাসাশিক্ষক পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছেন এবং চার দিন ধরে কোনো চিকিৎসা না দিয়ে মাদরাসায় আ’ট’কে রাখার অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে।

অ’ভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজে’লার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া গ্রামের হারুন অর রশিদ হাওলাদারের শি’শুপুত্র মো. আবদুল্লাহকে ওই মাদরাসায় নুরানী (অবাসিক) শাখায় ভর্তি করান। ২২ দিন আগে তার মা পারুল বেগম ছে’লের সঙ্গে মাদরাসায় এসে দেখা করে যান।

এরপর গত ৯ ডিসেম্বর বিকেলে মাদরাসার নুরানী শাখার ক্লাস নেন শিক্ষক হাফেজ মা’ওলানা আবু আক্কাস আলী। ক্লাসে পড়া না পাড়ায় ছাত্র আবদুল্লাকে প্রথমে লা’ঠি দিয়ে পে’টান ওই অ’ভিযু’ক্ত শিক্ষক। লা’ঠি দিয়ে পে’টানোর সময় শি’শু আবদুল্লাহ চি’ৎকার করে কা’ন্না শুরু করলে এতে ক্ষিপ্ত হন ওই মাদরাসাশিক্ষক।

এ সময় তিনি আবদুল্লাহকে ডাস্টার দিয়ে পি’টিয়ে বাঁ হাতের জোড়া ছুটিয়ে ফেলেন। এ অবস্থায় আবদুল্লাহকে কোনো ধরনের চিকিৎসা এবং তার অ’ভিভাবককে না জানিয়ে চার দিন ধরে মাদরাসার একটি কক্ষে ছাত্রটিকে আ’ট’কে রাখেন ওই অ’ভিযু’ক্ত শিক্ষক। চার দিন ধরে আবদুল্লাহ হাতের প্রচণ্ড যন্ত্র’ণায় কাতরালেও শিক্ষক তার কোনো চিকিৎসা এবং খোঁজ নেননি।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে আবদুল্লাহর মা ছে’লেকে দেখতে মাদরাসায় এলে ছে’লেটি কা’ন্না শুরু করে দেয় এবং তার হাত ব্যথায় নাড়াতে পারছে না বলে মাকে জানায়।

মা তখন নিরুপায় হয়ে ছে’লেকে তাৎক্ষণিক আমতলী হাসপাতা’লের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে তার হাতের এক্স-রে করে দেখা যায় বাঁ হাতের জয়েন্ট সরে গেছে।

শি’শু আবদুল্লাহ বলেছে, ‘পড়া না পারায় হুজুর আমা’রে পিডাইয়া হাত ভাইঙ্গা দিছে। এরপর আমা’রে কোনো ওষুধ খাওয়ায় নাই। বাড়িতেও যাইতে দেয় নাই।’

শি’শু আবদুল্লাহর মা পারুল বেগম বলেন, মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মা’ওলানা আবু আক্কাস আলী পড়া না পারায় আমা’র ছে’লেকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে। এমনকি হাত ভেঙে যাওয়ার পরও গত চার দিন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসা না দিয়ে মাদরাসায় আ’ট’কে রেখেছে।

আজ আমি মাদরাসায় ছে’লেকে দেখতে এসে এ ঘটনা জানতে পারি। তাৎক্ষণিক ছে’লেকে হাসপাতা’লে নিয়ে চিকিৎসা ও এক্স-রে করে জানতে পারি, ছে’লের বাঁ হাতের জোড়া ছুটে গেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

হাসপাতা’লের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রচণ্ড আ’ঘাতের কারণে ছে’লেটির বাঁ হাতের জয়েন্ট সরে গেছে। হাতে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে।

এ ব‍িষয়ে ওই মাদরাসার অ’ভিযু’ক্ত শিক্ষক হাফেজ মা’ওলানা আবু আক্কাস আলী বলেন, পড়া না পারায় সামান্য দু-একটি চড়-থাপ্পড় দিয়েছি। ডাস্টার দিয়ে হাত ভাঙার কথা তিনি অস্বীকার করেন। মা’রধরের পর চার দিন আ’ট’কে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার কোনো উত্তর দেননি।

আমতলী থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা এ কে এম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, হাত ভাঙা বাচ্চাসহ একজন মহিলা থা’নায় এসেছিল। মৌখিকভাবে সে মাদরাসা শিক্ষকের বি’রুদ্ধে তার ছে’লেকে পিটিয়ে হাত ভাঙার বিষয়ে জানিয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: