cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
কুড়িগ্রামের চিলমা’রী উপজে’লার নয়ারহাট ইউনিয়নের গৌড়মহন হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. লাইলি বেগমের বি’রুদ্ধে তার স্বামী ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছে’লেকে অ’ভিভাবক সাজিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ৯ জনশি’শু শিক্ষার্থীর ‘ভু’য়া’ নাম ব্যবহার করে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত করার অ’ভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে জে’লা ও উপজে’লা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মক’র্তা বরাবর লিখিত অ’ভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে চিলমা’রী উপজে’লা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু সালেহ সরকার অ’ভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে এখনও কোনও ত’দন্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন।
অ’ভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক লাইলি বেগম তার স্বামী জয়নাল আবেদিনকে প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাবা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর চাচা দেখিয়ে একই জাতীয় পরিচয়পত্র (৪৯১০৮৫৭৪৬২৫১৮) নাম্বার ব্যবহার করে একই মোবাইল নাম্বারে নগদের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করছেন।
একইভাবে প্রধান শিক্ষক তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছে’লে জাবির হোসেনকে প্রথম শ্রেণির ৬ শিক্ষার্থীর বাবা, ভাই ও চাচা সাজিয়ে একই জাতীয় পরিচয়পত্র (৪৬৫৫০০০২০৮) নাম্বার ব্যবহার করে একই মোবাইল নাম্বারে নগদের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্পের আওতায় গৌড়মহন হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির তালিকায় দেখা যায়, প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান (রোল ২২) ও রাশেদা খাতুন (রোল ২৮) এবং দ্বিতীয় শ্রেণির শাহাদতের (রোল ৪৯) অ’ভিভাবকের স্থলে প্রধান শিক্ষকের স্বামী জয়নালের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
আর প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তা (রোল ৩৯) , খাদিজা (রোল ৫৬),আরফিনা (রোল ৬৩), দিয়া (রোল ৬৪),সয়ামিনি (রোল ৬৫) এবং আশিকের (রোল ৬৪) অ’ভিভাবক হিসেবে জাবির নামে এক ব্যাক্তির জাতীয় পচিয়পত্র ও মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের অ’ভিভাবক জয়নাল ও জাবির হোসেন আসলে প্রধান শিক্ষক লাইলি বেগমের স্বামী ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছে’লে। আর যেসব শিক্ষার্থীর নাম ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে প্রকৃত পক্ষে সেসব নামে কোনও শিক্ষার্থী ওই স্কুলের সংশ্লিষ্ট শ্রেণিতে নেই।
উপবৃত্তির তালিকায় থাকা জয়নাল আবেদিনের মোবাইল নাম্বারে ফোন দেওয়া হলে অ’পর প্রান্তে থাকা ব্যাক্তি নিজের নাম জয়নাল আবেদিন ও প্রধান শিক্ষক লাইলি বেগমের স্বামী বলে স্বীকার করেন।
শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘দুইজন শিক্ষার্থীর মোবাইল নাম্বারে কী’ যেন সমস্যার কারণে আমা’র নাম্বার দিয়ে থাকতে পারে। আমি বিস্তারিত জানিনা। কিন্তু আমা’র নাম্বার দেওয়ার কথা নয়।’
তার ছে’লের নাম জাবির নিশ্চিত করে জয়নাল বলেন,‘ তার (ছে’লের) নাম ও মোবাইল নাম্বার কেন ব্যবহার করা হয়েছে তা আমা’র জানা নেই। এ বিষয়ে ম্যাডাম (প্রধান শিক্ষক) বিস্তারিত বলতে পারবেন। আমি বাইরে আছি। বাসায় গিয়ে বিষয়টি জেনে আপনাকে জানাবো।’
স্বামী ও সন্তানকে অ’ভিভাবক দেখিযে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক লাইলি বেগম। তার দাবি, ওই ৯ শিক্ষার্থীর অ’ভিভাবকদের মোবাইল নাম্বার না থাকায় তিনি উপবৃত্তির তালিকায় তার স্বামী ও ছে’লের নাম ও মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করেছেন। উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করে ওই শিক্ষার্থীদের দিয়ে দেওয়া হয় বলেও দাবি করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের অ’ভিভাবকদের স্থলে নিজের স্বামী ও ছে’লের নাম ব্যবহার করা বিধি বহিঃর্ভুত কি না, জানতে চাইলি প্রধান শিক্ষক তাতে সম্মতি জ্ঞাপন করে বলেন, ‘ তা ঠিক। কিন্তু টাকা আসলে ওই বাচ্চাদের তা দিয়ে দেওয়া হয়।’
ভু’য়া নাম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের টাকা উত্তোলন করছেন, এলাকাবাসীর এমন অ’ভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ এ অ’ভিযোগ সঠিক নয়।’
উপজে’লা শিক্ষা কর্মক’র্তা আবু সালেহ সরকার জানান, তিনি অ’ভিযোগ পেয়েছেন। কিন্তু ব্যস্ততা থাকায় এখনও বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেননি।
‘অ’ভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু তা সঠিক কিনা তা এখনও যাচাই করা সম্ভব হয়নি। আমাদেরতো অনেক কাজ। তাই এখনও ত’দন্ত করা হয়নি।’ বলেন এই শিক্ষা কর্মক’র্তা।
এ প্রসঙ্গে জে’লা শিক্ষা কর্মক’র্তা (ডিপিইও) মো. শহীদুল ইস’লাম জানান, ’আমি এখনও অ’ভিযোগের কপি পাইনি। অ’ভিযোগ পেলে ত’দন্ত করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’