cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জে’লার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছে’লে রাসেল ইস’লাম। দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান তিনি। তবে এসব প্রতিকূলতা পেরিয়ে মাত্র ১৮ বছর বয়সে এক পায়ে দড়ি লাফ খেলায় তিনি গিনেস বুকে নিজের নাম লেখিয়েছেন। রাসেলের এমন সফলতায় আনন্দিত তার পরিবার ও এলাকাবাসী। ২৯ জুলাই (বৃহস্পতিবার) পোস্ট অফিসের মাধ্যমে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কৃপক্ষের পাঠানো সনদ দুটি হাতে পায় রাসেল।
রাসেলের ইচ্ছা ওয়ার্ল্ড চাম্পিয়নশীপ এ অংশগ্রহণ করে নিজেদের যোগ্যতায় জায়গা করে নিয়ে দেশের সুনাম অর্জন করার। সেই লক্ষ্যে নিজেকে গড়ে তুলতে নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য বাংলাদেশ বলার স্প্রিড ফেডারেশন ও সরকারি সহায়তা কা’মনা করেন রাসেল।
জানা যায়, স্কুলজীবন থেকেই রাসেলের ইচ্ছা ছিল স্কিপিং রোপে বিশ্ব রেকর্ড করার। সেই চিন্তা নিয়েই ২০১৭ সাল থেকে তিনি স্কিপিং রোপের চর্চা শুরু করেন। বাসার আশপাশে বিভিন্ন সড়কের ধারে যখন যেখানে সময় পেয়েছে সেখানেই প্রতিনিয়ত স্কিপিং রোপের চর্চা করে গেছেন।
অবশেষে নিজেকে এই খেলায় পরিপূর্ণ মনে হলে ২০১৯ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন রাসেল। স্কিপিং রোপের ওপর দু’টি বিষয়ে তিনি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। একটি ৩০ সেকেন্ডের আর অন্যটি ১ মিনিটের ওপর।
এক পায়ে ৩০ সেকেন্ড স্কিপিং রোপে ১৪৪ বার লাফানোর বিশ্ব রেকর্ড থাকলেও রাসেল লাফিয়েছেন ১৪৫ বার। আর ১ মিনিটে এক পায়ে ২৫৬ বার লাফানোর বিশ্ব রেকর্ড থাকলেও রাসেল লাফিয়েছেন ২৫৮ বার। এর মাধ্যমে তিনি নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাসেল অনলাইন থেকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সনদপত্র পান।
অদম্য চেষ্ঠা মানুষকে তার গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারে তার অনন্ত উদাহ’রণ ঠাকুরগাঁও সদর উপজে’লা রহিমানপুর ইউনিয়নের সিরাজপাড়া গ্রামের রাসেল ইস’লাম। দরিদ্র পরিবারের জন্ম নেয়া রাসেল দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে স্বপ্ন দেখতেন বড় কিছু হবার। সে লক্ষ্যেই গত প্রায় চার বছর যাবত দড়ি লাফ খেলা অণুশীলন করে আসছেন তিনি। ২০১৭ সালে দড়ি লাফ খেলায় স্কুল পর্যায়ে উপজে’লা, জে’লা, বিভাগ ও জাতীয় ভাবে চাম্পিয়ন হয় রাসেল। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করার লক্ষে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করে সে। স্কিপিং রোপে এক পায়ের ওপর দুটি বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করে সে। পরে কতৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মাবলী মেনে দড়ি লাফ খেলায় এক পায়ে ৩০ সেকেন্ডে ১৪৫ বার এবং ১ মিনিটে এক পায়ে ২৫৮ বার ঘোরানোর নিজের ভিডিও ফুটেজ পাঠালে যাচাই বাছাই শেষে প্রায় চার মাস পর গিনেস বুকে তার নাম অর্ন্তভুক্ত করেন কতৃপক্ষ। যদিও এক পায়ে ৩০ সেকেন্ড স্কিপিং রোপে ১৪৪ বার লাফানোর বিশ্ব রেকর্ড থাকলেও রাসেল করেছে ১৪৫ বার। আর ১ মিনিটে এক পায়ে ২৫৬ বার লাফানোর বিশ্ব রেকর্ড থাকলেও রাসেল সেই রেকর্ড ভেঙ্গে করেছে ২৫৮ বার ।
রাসেলের বাবা বজলুর রহমান বলেন, আমি গরিব হয়েও যথা সাধ্য ছে’লেকে সহযোগিতা করেছি। ছে’লের জন্য অনেক ক’ষ্ট করে টাকা রোজগার করেছি। ক’ষ্টের টাকা দিয়ে রাসেল তার খেলার সারঞ্জামাদি কিনতো, জে’লা শহর ও ঢাকায় যেতো। রাসেলের সফলতায় আমি আনন্দিত।
রাসেলের বড় ভাই আরিফ বলেন, আমা’র ছোট ভাই রাসেল এতো বড় কিছু অর্জন করবে, আম’রা বিশ্বা’স করতেই পারিনি। আম’রা গরিব হওয়ায় তাকে আর্থিক তেমন সহযোগিতা করতে পারিনি। সে নিজে নিজেই এতোদূর এগিয়ে গেছে।
ঠাকুরগাঁও জে’লা প্রশাসক ও জে’লা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান জানান, গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড একটি সম্মান জনক অর্জন ও গৌরবের। আমি তাকে অ’ভিনন্দন ও শুভ জানাচ্ছি। আগামীতে সে নতুন নতুন রেকর্ড গড়ুক এই কা’মনা করছি। এছাড়াও পৃষ্ঠপোষকতার জন্য তার কোন প্রয়োজন হলে তাকে জে’লা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতা করা হবে।