সর্বশেষ আপডেট : ১০ ঘন্টা আগে
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

বাবার চেম্বারে রোগী দেখেন মাধ্যমিক পাশ ছেলে, অঙ্গ হারাতে বসেছে ২ বছরের শিশু

সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার কোমরপুরে গ্রাম্য চিকিৎসক বাবার চেম্বারে রোগী দেখছেন তার মাধ্যমিক পাশ ছেলে। ইতিমধ্যে তার অপচিকিৎসায় বর্তমানে আজিম হোসেন নামে ২১ মাসের এক শিশুর শরীরের ডান পাশ পুরোপুরি অচল হতে বসেছে। এ ঘটনায় শিশুটি এখন প্রতিবন্ধী হওয়ার উপক্রম।

এছাড়াও তার অপচিকিৎসার শিকার হয়ে হাসপাতালের বিছানায় দিন কেটেছে অনেকের।

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলছেন, গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার আমিরুল ইসলাম মধুর ছেলে আকিব হোসেন আকাশ নিজেকে (ডি.এম.এফ-ঢাকা) মা, শিশু ও কিশোর রোগে অভিজ্ঞ ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়ে ভুল চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। তার বাবা কোমরপুরস্থ শাহিদা সেবা কেন্দ্রে (রেজি. নং- ৮৯০৫২৪) চিকিৎসা প্রদান করেন। আর সেই সুবাদে উচ্চ মাধ্যমিক গণ্ডি না পেরিয়ে বাবার চেম্বারে নিজেই হয়ে গেছেন অভিজ্ঞ ডাক্তার। শুধু তাই নয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মত নিজের নামে ব্যবস্থাপত্র ছাপিয়ে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করছে আকাশ।

ক্ষতিগ্রস্ত শিশু পুত্রের দাদা গোলাম রসুল সরদার বলেন, গত শুক্রবার আমার পোতা বাড়িতে খেলা করার সময় খাট থেকে মেঝেতে পড়ে আঘাত পায়। চিকিৎসার জন্য তাকে কোমরপুরস্থ শাহিদা সেবা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। এ সময় চেম্বারে গ্রাম্য চিকিৎসক আমিরুল ইসলাম মধু না থাকায় তার ছেলে আকিব হোসেন আকাশ কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই শিশুটির কোমরে ইনজেকশন দেয়। এরপর পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসার পরপরই শিশুর হাত-পা নিস্তেজ গাল বেঁকে যেতে থাকে। তার অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরায় শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আজিজুর রহমানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি পূর্বের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে শিশুটিকে ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুল চিকিৎসা করার দায় স্বীকার করে আকাশ। তবে মধু ডাক্তারের চেম্বারের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এমনকি তার ছেলে আকাশ নিজেই কত সালে এসএসসি পাশ করেছেন সেটিও সঠিকভাবে বলতে পারেননি।

একজন মাধ্যমিক পাশ ছাত্র কীভাবে মা-শিশু ও কিশোর রোগে অভিজ্ঞ জানতে চাইলে মধু ডাক্তার তার নিজের অভিজ্ঞতায় তার ছেলে অভিজ্ঞ বলে জানান।

তবে বিষয়টি নিয়ে আকাশ বলে, তার বাবার চেম্বারে সে নিজেই রুগী দেখে। ঢাকা থেকে তার ট্রেনিং করা আছে। শিশুটি ব্যথা পেয়েছিল ভেবে ইটোরাক-৩০ প্রদান করি। কিন্তু পরে জানতে পারি ইনজেকশনটি শিশুদের জন্য ক্ষতিকর।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর লতিফ বলেন, গ্রাম ডাক্তাররা ব্যবস্থাপত্র লিখতে পারেন না। তবে অধিকাংশরাই এটি মানেন না। বর্তমানে অনেক গ্রাম ডাক্তাররা ভুল চিকিৎসা প্রদান করছেন বিষয়টি শুনেছি। তবে তিনি যে কোন বিষয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: