cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যলয়ে (বুয়েট) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন রিকশাচালক বাবার ছে’লে মো. এনামুল হক। এ খবরে খুশি হওয়ার কথা থাকলেও মুখে হাসি নেই তার। অর্থের অভাবে তার বুয়েটে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমনকি পড়ালেখার খরচ চলবে কী’ভাবে সেই দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। তাই ছে’লের ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কা’মনা করেছেন রিকশাচালক বাবা।
অদম্য মেধাবী এনামুল হক কুষ্টিয়ার কুমা’রখালী উপজে’লার শিলাইদহ ইউনিয়নের বেলগাছি গ্রামের অটোরিকশাচালক ইস’রাইল হোসেনের ছে’লে। তিনি বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
এনামুল হক বলেন, অটোরিকশাচালক বাবার পক্ষে সংসার চালানোর পাশাপাশি লেখাপড়ার খরচ বহন করা কঠিন। অর্থের অভাবে আমা’র বড় বোনের পড়াশোনা আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। ছোট ভাই দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এর মধ্যে আমা’র বুয়েটে ভর্তি এবং ভর্তি পরবর্তী ঢাকাতে থেকে পড়াশোনার খরচ বহন করা বাবার একার পক্ষে অসম্ভব। কী’ করব বুঝতে পারছি না আমি। পড়ালেখার খরচ চালানোর টাকা আমা’র পরিবারের নেই। আমা’র ভর্তি এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। এজন্য সরকার ও দেশের বিত্তবান মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি।
অটোরিকশাচালক বাবা ইস’রাইল হোসেন বলেন, আমা’র ঘরে জন্ম নেওয়ায় যেন ওর অন্যায় হয়ে গেছে। কোনো ধনীর ঘরে জন্ম নিলে ওর জীবনটা এমন হতো না। টাকার অভাবে দিশেহারা এখন আম’রা। আপনারা সবাই আমা’র ছে’লের জন্য সাহায্য করুন। আপনারা যদি সাহায্য করেন তাহলে ছে’লেটাকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াতে পারব। তানাহলে আমা’র কোনো ক্ষমতা নেই তাকে পড়ানোর।
তিনি আরও বলেন, অটোরিকশা চালিয়ে কী’ভাবে ছে’লেকে বুয়েটে ভর্তি করব, কী’ভাবে ছে’লের পড়ালেখার খরচ চালাব বুঝতে পারছি না। আমা’র ছে’লের জন্য সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে পাশে দাঁড়ানোর আকুল আবেদন জানান তিনি।
অর্থের অভাবে যেন অদম্য মেধাবী ছে’লে এনামুল হকের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে না যায়, সেজন্য সকলের সহায়তা কা’মনা করেছেন তার পরিবার ও এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা বলেন, রিকশাচালকের ছে’লে বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু তাকে লেখাপড়ার করানোর মতো টাকা-পয়সা নেই। তারা চিন্তা করে কোনো কূল-কিনারা পাচ্ছে না। কী’ভাবে ছে’লেকে ভর্তি করাবে? কী’ভাবে বই কিনে দেবে? কী’ভাবে খরচ চালাবে। এজন্য আম’রাও সাহায্যের জন্য সবার কাছে আবেদন করছি।
কুমা’রখালী উপজে’লার শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দীন খান তারেক ঢাকা পোস্ট’কে বলেন, আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী না হওয়ায় এনামুলের রিকশাচালক বাবা ছে’লেকে নিয়ে খুব চিন্তায় আছে। তারা গরিব মানুষ। পড়াশোনার খরচ তার বাবার পক্ষে দেওয়া সম্ভব না। তাই আমি মনে করি, দরিদ্র মেধাবী ছে’লেটির পড়াশোনার দায়িত্ব সরকার ও বিত্তবানদের নেওয়া উচিত।
কুমা’রখালী উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা বিতান কুমা’র মন্ডল ঢাকা পোস্ট’কে বলেন, বুয়েটে চান্স পাওয়া এনামুলের পরিবার দরিদ্র। তার বাবা একজন রিকশাচালক। বুয়েটে লেখাপড়ার খরচ বহন করা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব না। ওই পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আম’রা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব। তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তবানদেরও আহ্বান জানাচ্ছি। টাকার অভাবে কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনা বন্ধ হবে না। বিষয়টি আম’রা গুরুত্বের সঙ্গে দেখব।
প্রসঙ্গত, এনামুলকে সাহায্য করেতে চাইলে তার ০১৭৭৬৮০৮৪২২ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা উল্লিখিত নম্বরে বিকাশ (পার্সোনাল) করতে পারেন।