cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ময়মনসিংহে ৯৪টি বস্তিতে প্রায় দুই লক্ষাধিক বস্তিবাসী রযেছে করোনার আতঙ্কে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নেই প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও সচেতনতা। অভাবে রয়েছে দ্বিনানিপাত করা বস্তির বাসিন্দারা। আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন তারা। এখনও পর্যন্ত সরকার কিংবা জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা না পাওয়ায় ক্ষোভ তাদের। করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশে অঘোষিত লকডাউনের কারনে আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বস্তিবাসী। এখানে আদর্শ কলোনী, মালঞ্চ কলোনী ও বিহারী ক্যাম্পসহ ৬ টি বস্তিতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বসবাস। দিন এনে দিন খাওয়া এখানকার অনেকেই সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। ঘনবসতি এইসব বস্তিতে করোনা প্রতিরোধে নেই কোন সচেতনতামূলক কার্যক্রম। একদিকে করোনার ভয় অন্যদিকে অভাবের তাড়না ভোগাচ্ছে বস্তিবাসিকে।
সুফিয়া নামে এক বস্তি বাসিন্দা জানান, বস্তি গুলোতে এমনিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকে। এর মধ্যেই করোনার ভয়। আমরা করোনার ঝুকিতে রয়েছি। বস্তিতে বসবাসকারী মাজেদা খাতুন জানান, তার আয়ে পরিবারে পাঁচ সদস্য নির্ভরশীল। করোনা ভাইরাসের কারনে কাজ কাম বন্ধ থাকায় বেকার অবস্থায় রয়েছি। এখনও কারো কাছ থেকে কোন সাহায্যে সহযোগিতা পাই নি। আমরা প্রশাসনের কাছে সাহায্য চাই যাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খেয়ে বেঁচে থাকতে পারি।
করোনা প্রতিরোধে সীমিত পরিসরে হলেও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছেন। সকল বয়সের বাসিন্দা হাত ধুয়ে করোনা ভাইরাস থেকে দুরে থাকার জন্য সচেতন রয়েছে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হবি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোন বরাদ্ধ না পাওয়ায় কর্মহীন মানুষকে সহযোগিতা করা যাচ্ছেনা। মানুষকে সহযোগিতা করতে বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, সিটি করপোরেশনের উচিৎ বস্তিগুলোকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া। বস্তিবাসীদের খাদ্য ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে সেগুলোকে সিল করে দেওয়া দরকার। বস্তি থেকে যেন কেউ বের হতে না পারে এবং ত্রাণ দেওয়ার নামে ফটো সেশন করতে গিয়ে সেখানকার কাউকে সংক্রমিত যেনো করতে না পারে। সেজন্য প্রয়োজনে পাহারা বসাতে হবে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, ইতিমধ্যে কর্মহীন মানুষের তালিকা সম্পূর্ণ করা হয়েছে। তাদের বাড়িতে বাড়িতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। অচিরেই সবাই ত্রাণ পাবে বলে জানান মেয়র। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান জানান, ময়মনসিংহে ৯৪ টি বস্তিতে প্রায় ২ লাখ মানুষ বসবাস করে। তাদের স্বাস্থ্য ও খাদ্যের বিষয়টি বিবেচনা করে বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে।