cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার ::
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম আন্তর্জাতিক কার্গো ফ্লাইট উড়বে আগামীকাল রোববার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায়। বাংলাদেশ বিমানের একটি কার্গো ফ্লাইটে ৬০ মেট্রিক টন গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে ফ্লাইটটি স্পেনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। এটির মধ্য দিয়ে দেশের রপ্তানি খাতে যুক্ত হচ্ছে নতুন এক সম্ভাবনার দিগন্ত।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কার্গো টার্মিনালটিতে রয়েছে আধুনিক ওয়্যারহাউজ, এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেমসহ উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং দক্ষ জনবল। টার্মিনালের প্রাথমিক ধারণক্ষমতা ১০০ টন।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর এই প্রথম কোনো বিমানবন্দর ‘আরএ-থ্রি প্রটোকল’ অনুসরণ করে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে। ফলে, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের পর এটি দেশের রপ্তানিখাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প হয়ে উঠছে।
তবে এখনো সিলেট অঞ্চলের পচনশীল কৃষিপণ্য রপ্তানিতে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, কারণ আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং হাউস ও সার্টিফিকেশন ল্যাব এখনো স্থাপন হয়নি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দ্রুত এসব সুবিধা চালু হলে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে সিলেটের আনারস, সাতকড়া, সুগন্ধি চাল, পান, ফুল, হিমায়িত মাছ, বেতের আসবাবপত্র ও নকশিকাঁথার বিশাল বাজারে প্রবেশ করা সম্ভব হবে।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, “এটি ছিল আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ ও প্রচেষ্টার ফলে আজ সেটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।”
কার্গো ফ্লাইট উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, সচিব নাসরীন জাহান, বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া এবং মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
কার্গো কমপ্লেক্স নির্মাণ শেষে দীর্ঘ দুই বছর ব্যবহারের বাইরে থাকলেও এখন তা চালু হওয়ায় খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুল জব্বার জলিল বলেন, “সরকারের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে টার্মিনাল কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে দ্রুত একটি প্যাকেজিং হাউস এবং সার্টিফিকেশন ল্যাব স্থাপন অত্যন্ত জরুরি।”
উল্লেখ্য, ছয় বছর ধরে সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট বন্ধ ছিল। ফলে রপ্তানিকারকরা বাধ্য হয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করতেন। এই উদ্যোগের ফলে এখন থেকে সিলেট থেকেই সরাসরি ইউরোপের বাজারে পণ্য পাঠানো সম্ভব হবে, যা রপ্তানি কার্যক্রমে গতি আনবে এবং ব্যবসায়িক খরচও কমাবে।