ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ ও আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহের বড় একটি উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির বিজ্ঞান ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কোরিয়া রেডিও প্রোমোশন অ্যাসোসিয়েশন (RAPA) গত দুই বছরে বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (NIMC)-এ অনুদান হিসেবে প্রদান করেছে আধুনিক টেলিভিশন সম্প্রচার সরঞ্জাম এবং একটি পূর্ণাঙ্গ মিডিয়া অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (MAM) সিস্টেম। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছর আরও একটি সম্পূর্ণ সজ্জিত শুটিং ভ্যান অনুদান হিসেবে হস্তান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে।

ঢাকায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এনআইএমসি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার RAPA-এর যৌথ উদ্যোগে “SIBE-NIMC (Support the Improvement of the Broadcasting Environment for NIMC)” প্রকল্পের আওতায় এই সরঞ্জামগুলো স্থাপন করা হয়।

এই উদার সহায়তা দক্ষিণ কোরিয়ার ডিজিটাল যোগাযোগ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এসেছে। এর মাধ্যমে এনআইএমসি-এর প্রশিক্ষণ অবকাঠামো ও প্রযোজনাগার আরও আধুনিক হবে, যা দেশের গণমাধ্যম পেশাজীবীদের জন্য বাস্তবভিত্তিক ও উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করবে।

ইতোমধ্যে নতুন এই সরঞ্জামের ব্যবহার শুরু করেছে এনআইএমসি। MAM সিস্টেম-এর মাধ্যমে ডিজিটাল কনটেন্ট সংরক্ষণ, অনুসন্ধান ও ব্যবস্থাপনায় গতি এসেছে, যা পোস্ট-প্রোডাকশন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও কার্যকর করেছে। অন্যদিকে শুটিং ভ্যান, যা আধুনিক সম্প্রচার যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত, তৃণমূল পর্যায়ে গিয়ে অনুষ্ঠান ধারণের সুযোগ তৈরি করবে।

SIBE-NIMC প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবু সাদেক কোরিয়া সরকার ও RAPA-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “এই অনুদান আমাদের কারিগরি সক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে উন্নত করেছে।”
প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মারুফ নেওয়াজ বলেন, “এই সহায়তার ফলে প্রশিক্ষণার্থীরা আধুনিক সম্প্রচার মান অনুযায়ী উচ্চমানের কনটেন্ট তৈরি করতে সক্ষম হবেন।”

বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন ও বাজেটের আওতায় SIBE-NIMC প্রকল্পে এরইমধ্যে কর্মশালা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, সম্মেলন ও ডকুমেন্টারি প্রযোজনার আয়োজন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার সাংবাদিকরা এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।

এই প্রকল্পের কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণমাধ্যম পেশাজীবীদের মধ্যে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গণমাধ্যম উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে উঠছে, এই উদ্যোগ তার একটি শক্তিশালী উদাহরণ। ভবিষ্যতে এই ধরনের অংশীদারিত্ব আরও উদ্ভাবন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল