সর্বশেষ আপডেট : ৫৮ মিনিট ৭ সেকেন্ড আগে
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সিলেটে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবসে মানববন্ধন: বালু ও পাথর লুটতরাজ বন্ধের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ::

সিলেটে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, যদি বালু ও পাথর লুটতরাজ বন্ধ করা না হয়, তবে পরিবেশ বিপর্যয় মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। তারা বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সরকার একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে সিলেটের নদ-নদীগুলো ধ্বংস হচ্ছে, যা সমগ্র দেশের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেল ৩টায় আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে সুরমা নদীর তীরে চাঁদনী ঘাটে ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট’ ও ‘সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার’-এর যৌথ উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ‘সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, সারি, ধলাইসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে চলমান বালু লুটতরাজ’ বন্ধের দাবিতে পরিবেশকর্মীরা এই প্রতিবাদ জানান।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট’-এর আহ্বায়ক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠক ও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক।

অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট’-এর সদস্য সচিব ও ‘সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার’ আব্দুল করিম কিম। তিনি বলেন, “সিলেটের নদ-নদীগুলো থেকে বালু ও পাথর লুটপাটের মহোৎসব চলছে। নদী ছাড়াও কৃষিজমি, টিলা ও বসতবাড়ি থেকে এসব প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করা হচ্ছে। অথচ প্রশাসন এ বিষয়ে নির্বিকার।” তিনি আরো বলেন, “নদীগুলোতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, যা প্লাস্টিক ও পলিথিনের মাধ্যমে হাওর ও সাগরের তলদেশ ভরাট করছে।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, “নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদ-নদীগুলো অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। দেশে পর্যাপ্ত আইন ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। নদীগুলো রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে, না হলে মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।”

এছাড়া বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী ওয়াক্কাস সোহেল, সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ এমদাদুল হক, ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইমজা) সিলেটের সভাপতি আশরাফুল কবির, অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দিপন, অ্যাডভোকেট সুদীপ্ত অর্জুন, পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের রেজাউল কিবরিয়া, মাহমুদুর রহমান ওয়েস, মো. ফকরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট অরূপ শ্যাম বাপ্পী, শামসুল আলম জাকারিয়া, জাকির আহমদ চৌধুরী, আলমগীর আলম শাহান, অ্যাডভোকেট জাকিয়া জালাল, রোমেনা বেগম, শ্রুতি সিলেটের সমন্বয়ক সুমন্ত গুপ্ত, সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী শাকিলা ববি, ফটোসাংবাদিক মামুন হোসেন ও ব্যবসায়ী মওদুদ আহমদ প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বলেন, “নদীর প্রবাহ পরিবর্তন হলে কৃষিজমি, বাড়িঘর, রাস্তা-ঘাট ও ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বালু লুটতরাজ বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।”

অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট’-এর সদস্য সচিব ও ‘সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার’ আব্দুল করিম কিম-এর মাতা ছালেহা খাতুনের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: