cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় অনার্স পড়ুয়া এক কলেজছাত্রীকে টেনে-হেঁচড়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মারধর করায় অসুস্থ হয়ে পড়ে মাটিতে লুটে পড়ে মেয়েটি।
এদিকে, প্রথম স্ত্রী আসার খবরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান ইতালি প্রবাসী অভিযুক্ত আল আমিন। মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের উত্তর শিরখাড়া গ্রামের এ ঘটনায় তোলপাড় পুরো এলাকাজুড়ে। অভিযুক্ত আল আমিন ওই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
জানা গেছে, বিয়ের গেট, তার সঙ্গে সাজানো হয়েছে লাইটিং। আসতে শুরু করেছে আত্মীয়-স্বজন ও পাড়াপ্রতিবেশীও। প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের বরযাত্রা রওনা হবে, শুক্রবার দুপুরে এ সময় হাজির হন প্রথম স্ত্রী।
জানা যায়, তিন বছর আগে অনার্স পড়ুয়া মেয়েটির সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে পরিচয় হয় ইতালি প্রবাসী আল আমিনের। এরপর প্রেমের সম্পর্ক হলে দুজনের পরিবারকে জানানো হয়। সবার সম্মতিতে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি মেয়েটির বাড়িতে আসে বরপক্ষ। সেখানে বসে আল আমিন ইতালি থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়েটিকে নিয়ে আসা হয় স্বামীর বাড়িতে। এর কিছুদিন পর মেয়েটি বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এক মাস আগে ইতালি থেকে বাড়িতে আসেন আল আমিন। প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে অন্যত্র বিয়ে করবে, এমন খবরেরই শুরু হয় হট্টগোল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে পুলিশও।
ভুক্তভোগী মেয়েটি বলেন, পারিবারিকভাবে আল আমিনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। আমাকে কিছুই না জানিয়ে আল আমিন অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি কিছুতেই তা মেনে নিতে পারছি না। আমি প্রয়োজনে থানায় যাবো, থানা পুলিশ সহযোগিতা না করলে, আমি আদালতের দ্বারস্থ হবো। আমি আমার স্বামীর স্বীকৃতি আদায় করেই ছাড়বো।
অভিযুক্ত আল আমিনের বাবা মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়েটির বিয়ে হয়েছে। কিন্তু এখনো ডিভোর্জ হয়নি। সেই ডিভোর্জ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আমার ছেলেকে আমরা অন্যত্র বিয়ে করাতে চাই। সেই প্রস্তুতিও ঠিকভাবে নেয়া হয়েছে। মেয়েটি খারাপ, এ জন্য তাকে আমার বাড়িতে আর তুলবো না।
শিরখাড়া ইউনিয়ন সাবেক ইউপি সদস্য নুর হোসেন বলেন, আল আমিন ভুলবুঝে ওই মেয়েটিকে বিয়ে করেছিল। পর মেয়েটি আরেকটি ছেলের সঙ্গে চলে গেছে। এ জন্য এই বাড়িতে মেয়েটিকে আর গ্রহণ করা হবে না।
আল আমিনের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য বলেন, প্রয়োজনে মামলা হবে। আইনগতভাবে সমাধান হবে। তবুও ওই মেয়েটিকে আমরা আর কখনই মেনে নেবো না।
স্বজনদের দাবি, একাধিক বিয়ে থাকায় মেয়েটি স্বেচ্ছায় চলে গেছে। আর ঘরে তুলবেন না তারা।
মাদারীপুর সদরের শ্রীনদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (আইসি) মো. বাবুল আক্তার বলেন, একটি উত্তেজনার খবর পেয়ে আল আমিনের বাড়িতে যায় পুলিশ। সেখানে প্রথমে আল আমিনের বাবা মোহাম্মদ আলী উপস্থিত থাকলেও সেও পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এছাড়া মেয়েটি বাড়িতে হাজির হবার খবরে আল আমিন সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায়। মেয়েটিকে মারধর করা হয়েছে, এমন অভিযোগে মামলা করলে আসামি ধরে আদালতে পাঠানো হবে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি এএইচএম সালাউদ্দিন জানান, ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।