cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
ফুল সজ্জিত গাড়িবহর এবং নানা শ্রেণী পেশার মানুষের ভালবাসায় বিদায় নিলেন চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর। এ উপলক্ষে বুধবার ২৫ জুন বিকেল ৪টায় উপজেলা সভাকক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতেই চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কমিটি, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, দলীয় নেতাকর্মী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সাংবাদিকরা বিদায়ী সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার ভূমি মাহবুব আলম মাহবুব। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফাফিজুর রহমান রিপনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার। এতে বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত ব্যক্তি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়াকত হাসান, থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হিল্লোল রায়, চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: জামাল হোসেন লিটন, সাবেক সভাপতি মো: কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা সকল দপ্তরের প্রধানগন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সব চেয়ারম্যানগন, যুবলীগ ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ । দীর্ঘ ৪৭ বছরের রাজনীতি জীবন ও ৩১ বছর জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব সমাপ্ত করেন তিনি। বিকেলে অন্যরকম এক আয়োজনের মাধ্যমে তাকে বিদায় জানিয়েছেন সকল পেশার শতশত মানুষ। বিদায়ের আগে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা হয়।
আলোচনা শেষে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর এর গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তার হাতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানগণ । শেষ মুহূর্তে সন্ধ্যায় ফুল সজ্জিত গাড়িবহরের মাধ্যমে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।
বিদায়বেলায় এমন সম্মাননায় অশ্রুসিক্ত হন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর । তার বাড়ি উপজেলার গোগাউড়া গ্রামে। চুনারুঘাটে এমন ধরনের বিদায়ের ঘটনা এবারই প্রথম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, জনপ্রতিনিধিদের কোন বিদায় হয়না, উনারা হচ্ছেন একটি অধ্যায় শেষ করেছেন, শুধু মাত্র ৫বছের সময়টা সমাপনী হয়েছে, উনারা যেমন জনপ্রতিনিধি ছিলেন এখনও জনপ্রতিনিধি থাকবেন। হয়তো নির্বাচিত হয়ে একটা চেয়ার একটা পদ রেখে চলে গেছেন। কিন্তু জনপ্রতিনিধি তিনি সবসময়ই জনপ্রতিনিধি।
উপজেলা চেয়ারম্যান সফলভাবে ৫ বছর চুনারুঘাটের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন এবং বিদায়কালে সম্মানের সহিত বিদায় নেয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের প্রতি আমার শুভ কামনা রইল। বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামিলীগের উপদেষ্টা, তিনি তিন বারের সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, দুই বারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে সকলের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করেন । সুদীর্ঘ এ সময়ে মানুষের সুখ- দুঃখে, বিপদে পাশে ছিলেন তিনি। বয়সের ভার ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি নিজেই এবছর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি । তাই তার ভক্তবৃন্দ কর্মী সমর্থকরা ফুল সজ্জিত গাড়িবহরে প্রাপ্য সম্মান দিয়ে নিজ বাড়ি উপজেলার গোগাউড়া গ্রামে পৌঁছে দেন ।
এসময় তার পুত্র উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জিল্লুল কাদির লস্কর রিমন ও কন্যা জেলা মহিলা আওয়ামিলীগ নেত্রী মাহমুদা জাহান এনি লস্কর সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান কন্যা এনি লস্কর বলেন, মানুষ আমার বাবাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করে। উপজেলা প্রশাসন, পরিষদ সহ দলীয় নেতাকর্মীরা আমার বাবাকে রাজকীয় বিদায় দিয়ে ভালোবাসার প্রমাণ দিয়েছে। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আরও বলেন, শুধু রাজনীতি করলেই যে, মানুষের সেবা করা যায় তা নয় রাজনীতির বাহিরেও মানব সেবা করা যায়। আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন এবং চুনারুঘাট উপজেলাবাসীর জন্য লস্কর পরিবারের দরজা সবসময় খোলা থাকবে। বিদায়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর বলেন, আমরা যে যাই কিছুই করি না কেন, সমাজের যারা অবহেলিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত, নিষপীড়িত মানুষ যারা আছে, সবাই যদি আন্তরিকতার সাথে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন তাহলে চুনারুঘাট হবে শান্তির ও শ্রেষ্ঠ উপজেলা। আমার সহযোগিতা থাকবে সবসময়।