cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েস্বর চন্দ্র রায় ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আব্দুস সালাম ছাড়া ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে শনিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে মাঠে ছিলেন না দলটির সিনিয়র নেতারা। পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকেও তেমন মাঠে দেখা যায়নি। তবে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সংর্ঘষ হয়।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে শুক্রবার নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ থেকে রাজধানীর প্রবেশ দ্বার উত্তরা, গাবতলী, নয়াবাজার এবং যাত্রাবাড়ীর দনিয়ায় অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। শনিবার বেলা ১১টা থেকে বিকার ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিলো।
উত্তরার অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য আব্দুল মঈন খানের। এছাড়াও গাবতলীতে স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নয়াবাজারে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চট্টগ্রাম রোডের দনিয়া কলেজ সংলগ্নে মির্জা আব্বাসের থাকার কথা ছিলো। তবে একমাত্র গয়েস্বর ছাড়া কাউকে মাঠে দেখা যায়নি। এছাড়াও যুবদল, স্বেচ্চাসেবক দল, ছাত্রদলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে মাঠে দেখা যায়নি।
অবস্থান কর্মসূচি কেন্দ্র করে রাজধানীর শ্যামলী, মাতুয়াইলসহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় যুগ্ম কমিশনারসহ ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৯০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডিএমপি মিডিয়া আ্যন্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।
পুরান ঢাকার নয়াবাজার, ধোলাইখাল ও সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের সময় আহত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ দাবি করেছে, তাকে ‘সেফ’ করার জন্য তাকে ডিবিতে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশের গাড়িতে তাকে বাসায় পৌঁছে দেয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ফজলুল হক মিলন ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের নেতৃত্বে উত্তরায় অবস্থান নেয় বিএনপি। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় উত্তরায় জড়ো হওয়া নেতাকর্মীরাও।
সকাল থেকেই ঢাকার প্রবেশমুখ গাবতলীতে কড়া অবস্থানে থাকে পুলিশ। পাশাপাশি লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক নিয়ে মহড়া দেয় যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা।
ওই এলাকার মাজার রোড থেকে গাবতলী আমিনবাজার ব্রিজ পর্যন্ত কিছুক্ষণ পরপর লাঠি মিছিল করে তারা। সেখানে তারা জামায়াত-বিএনপি বিরোধী ও অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এ ছাড়া মোটরসাইকেল শোডাউনও করে। গাবতলীতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চলে যান জানায় পুলিশ।
শনির আখড়ায় পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের টিয়ার শেলের জবাবে বিএনপি কর্মীদের ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। সংঘর্ষে বড় আকারে ছড়িয়ে যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায়। টিয়ারশেলের পাশাপাশি জলকামান, সাজোয়া যান নিয়ে পুলিশ বিএনপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এসময় গুলির শব্দও শোনা গেছে।
শুক্রবার বিএনপি ঢাকার প্রবেশমুখে কর্মসূচি ঘোষণার পর একই জায়গায় পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ।
রাজনৈতিক এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যেই পুলিশ জানিয়েছিল যে কেউ শনিবার কোনো কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে তারা কঠোর ব্যবস্থা নেবে। পুলিশের পক্ষ থেকে রাজধানী জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল।