cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বিয়ের দাবিতে জামালপুর থেকে বরগুনায় আসা সেই তরুণী অনশনের পঞ্চ’ম দিন সোমবার প্রে’মিক মাহমুদুল হাসানের বাড়ির তালা ভেঙে ঘরে ঢুকেছে।
মঙ্গলবার (৩ মে) তার ঈদ কাটছে ওই ঘরেই। জানালা দিয়ে প্রতিবেশীদের দেওয়া কলা আর রুটি খেয়েই তার ঈদ কাটছে এবার। তবুও খোঁজ নেয়নি প্রে’মিক ও তার পরিবার। খোঁজ নেয়নি ওই কি’শোরীর স্বজনরাও।
মঙ্গলবার ঈদুল ফিতরের দিন বিকালে সংবাদমাধ্যমের কাছে এসব তথ্য জানান ওই তরুণী নিজেই। এর আগে সোমবার (২ মে) দুপুরে বেতাগী উপজে’লার চান্দখালী ইউনিয়নের ভা’রপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ সোনা মোল্লার উপস্থিতিতে ঘরের তালা ভেঙে তাকে ঘরে ঢুকিয়ে দেন এলাকাবাসী।
গত বৃহস্পতিবার সকালে জামালপুরের ওই তরুণী বরগুনার বেতাগী উপজে’লার চান্দখালী বাজার সংলগ্ন প্রে’মিক মাহমুদুল হাসানের ভাড়া বাড়ির সিঁড়িতে অবস্থান নেন। নিজেকে ঢাকার উত্তরা ইউনিভা’র্সিটির ছা’ত্রী দাবি করেন ওই তরুণী।
তরুণীর দাবি, বিয়ের প্রলো’ভনে মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে ঢাকার একটি বাসায় স্বামী-স্ত্রী’ পরিচয়ে থাকতেন তারা। তিন বছর প্রে’মের পর সম্প্রতি বিয়ের কথা বললে নানা অযুহাতে তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন মাহমুদুল। রোজার শুরুতে মাহমুদুল গ্রামের বাড়ি বরগুনায় চলে আসেন। বাড়িতে এসে প্রে’মিক মাহমুদুল যোগাযোগ কমিয়ে দিয়ে তরুণীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন।
ঈদ নিয়ে তরুণী বলেন, মানুষ এতো নিষ্ঠুর হয় কী’ভাবে। ঈদের দিন আমি কলা-রুটি খেয়ে আছি। একটিবারের জন্য কী’ মাহমুদুল ও তার পরিবার আমা’র খোঁজ নিতে পারত না!
তরুণী আরও বলেন, ঘরে ঢুকতে পেরে নিজেকে নিরাপদ মনে হচ্ছে। যারা ঘরে ঢুকতে সহযোগিতা করেছেন তাদের কাছে মাহমুদুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিয়ের ব্যবস্থা করার দাবি আমা’র।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে মাহমুদুল হাসানের এক আত্মীয় জানান, ওই তরুণীর খোঁজ নিতে গিয়ে দুদিন ধরে একই বাড়িতে অব’রুদ্ধ আছেন মাহমুদুলের মামা সোবহান গাজী। মঙ্গলবার বিকালে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন চান্দখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ সোনা মোল্লা। পরে ওই বাড়িতে গিয়ে তালাবদ্ধ গেটের মধ্য থেকে কথা হয় সোবাহান গাজীর সঙ্গে।
সোবাহান গাজী বলেন, ভাগ্নে মাহমুদুল বলছে মেয়েটি তাকে ব্লাকমেইল করছে। ওই মেয়েকে বিয়ে করালে সে আত্মহ’ত্যা করবে। তারপরও আমি মানবিক কারণে কিছু খাবার নিয়ে মেয়েটির খোঁজ নিতে এসে অব’রুদ্ধ হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ভাগ্নের পরিবার থেকে কেউ আমা’র খোঁজও নিচ্ছে না। আমি বৃদ্ধ ও অ’সুস্থ মানুষ, ওষুধটুকু পাচ্ছি না। ৩০ রোজা থাকলাম অথচ ঈদের নামাজটুকুও আমাকে পড়তে দেওয়া হলো না। ঈদের একটা দিন শুধু রুটি আর কলা দিয়ে গেছে স্থানীয়রা, তা খেয়ে বেঁচে আছি। আমি এ বিষয়ে সাহায্য চাই।
এবিষয়ে এখন পর্যন্ত মাহমুদুল ও তার পরিবারের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের ভাড়া বাড়ির মালিক জাফর মিয়া জানান, এবিষয়ে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
জাফর বলেন, ভাড়াটিয়ারা থাকায় বিষয়টি নিয়ে যত ঝামেলা আমাকে পো’ড়াতে হচ্ছে। বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা ক্ষুব্ধ হয়েছে। আমি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বাড়িওয়ালা হিসেবে এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সাহায্য চাই। নয়তো যেকোনো মুহূর্তে এখানে একটি দুর্ঘ’টনা ঘটে যেতে পারে। আমি লিখিতভাবে অ’ভিযোগ জানাব।
চান্দখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ সোনা মোল্লা বলেন, মানবিক কারণে আম’রা এগিয়ে এসেছি। মাহমুদুল ও তার মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে আম’রা স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু তারাও আসার কথা বলে আসেননি। বর্তমানে মে’য়েটির সিঁড়িতে অবস্থান করা ঝুঁ’কি মনে করে তালা ভেঙে রুমে ঢুকানোর এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একই সঙ্গে মাহমুদুলের মামাকেও অ’পর একটি রুমে অব’রুদ্ধ করা হয়।
বেতাগী থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) বলেন, লিখিত অ’ভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।