cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
শিরোনাম পড়ে হয়তো ভাবছেন, এ আর কি এমন ব্যাপার! ১০ ঘণ্টা না ২৪ ঘণ্টাও কা’টাতে পারবেন বলে ভাবছেন নিশ্চয়। তাহলে আগেই আপনাকে জানিয়ে রাখি আ’মেরিকার সবচেয়ে ভ’য়ঙ্কর বাড়ি এটি। যেখানে ৫-৬ ঘণ্টার বেশি কেউই থাকতে পারেন না। তিনি যতই সাহসী হন না কেন।
সবচেয়ে অ’বাক করা বিষয় হলো, এ বাড়ির মালিক রাশ ম্যাককেমি নিজেই সবাইকে আমন্ত্রণ জানান সেখানে ১০ ঘণ্টা কা’টানোর জন্য। নিজের বাড়িকেই দর্শণীয় স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন রাশ ম্যাককেমি। ভুতুড়ে এই বাড়িতে যদি কেউ ১০ ঘণ্টা কা’টাতে পারেন; তাহলে তার জন্য ১৭ লাখ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করেছেন ম্যাককেমি।
সবচেয়ে র’হস্যজনক বিষয় হলো, কেউই এ বাড়িতে ঢুকে ৫-৬ ঘণ্টার বেশি সময় কা’টাতে পারেন না। কারণ সেখানে ঘটে ভ’য়ঙ্কর সব ঘটনা। ভ’য়ঙ্কর এ বাড়িটির অবস্থান যু’ক্তরাষ্ট্রের টেনেসির সামা’রটাউনে। বাড়িটির নাম মেককেমি ম্যানর। দর্শনার্থীদের জন্য রোমাঞ্চকর একটি স্থান এটি। এ বাড়ির বাইরে অনেক পর্যট’কের আগমন ঘটে। তবে কেউই ভেতরে প্রবেশ করতে চান না।
যারাই ওই বাড়িতে ১০ ঘণ্টা কা’টানোর প্রয়াসে ঢুকেছেন; তারাই মা’রাত্মকভাবে শারীরিক ও মানসিক নি’র্যা’তনের শিকার হতে হয়েছেন। এ পর্যন্ত যত সাহসী ব্যক্তিরাই বাড়িতে ঢুকেছেন তারা জীবনের সর্বোচ্চ ভৌতিক অ’ভিজ্ঞতা অর্জন করে সেখান থেকে বের হয়েছেন। অ’তিপ্রাকৃত বিভিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে ওই বাড়িতে! ধরুন কোনো ব্যক্তি ওই বাড়ির ঘরে বসে আছে, তাকে হঠাৎ করে টেনে তোলা হয়, কখনও চড় -থাপ্পড় মা’রা হয়।
এ কারণে বাড়িতে যারা প্রবেশ করতে আগ্রহী; তারা এসব জেনে বুঝেই সেখানে যান। কারণ সবাই নিজেকে সাহসী ভাবেন। সেইসঙ্গে ২০ হাজার ডলার বা ১৭ লাখ টাকা পাওয়ার লো’ভে অনেকেই সেখানে যান। এসব ভ’য়াবহ ঘটনা জানার পরেও যারা টাকা লো’ভে বাড়িতে প্রবেশ করতে চান, তার আগে ৪০ পৃষ্ঠার একটি কাগজ পড়ে সেখানে স্বাক্ষর করতে হয় আগন্তককে। ম্যাককেমি ম্যানরের ওয়েবসাইট বলছে , ‘নিজের এবং অন্যান্য অ’তিথিদের নিরাপত্তার খাতিরে বাড়িতে প্রবেশের জন্য শারীরিক সুস্থতার সনদ নিয়ে যেতে হবে।’
ম্যাককেমি ম্যানরে প্রবেশের জন্য বয়স ২১ বছরের উপরে হতে হবে। সেখানে প্রবেশের আগে আপনি ভেতরে কেমন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, সে বিষয়ে জানানো হবে। এরপর ওই বাড়িতে ঢুকলেই চোখে পড়বে অদ্ভুত সব মানুষ (ভুতের মতো দেখতে, র’ক্তাক্ত পোশাক পরা ইত্যাদি) এবং কান আসবে ভয়ঙ্কর শব্দ। এ কারণেই কেউই বেশিক্ষণ টিকতে পারে না বাড়িটিতে।
আসলে রাশ ম্যাককেমি তার বাড়িটিকে গড়ে তুলেছেন একটি ভ’য়ঙ্কর দর্শণীয় স্পট হিসেবে। মানুষকে ভ’য় দেখানোর যত রকম কৌশল আছে, সবকিছুর ফাঁদ পেতে রাখা আছে ওই বাড়ির অন্দরে। যেসব দর্শনার্থীরা ভেতরে ঢুকেন ১০ ঘণ্টা কা’টানোর জন্য; তারা আসলে বিবেচিত হন প্রতিযোগী হিসেবে।
এ কারণে তারা ভেতরে প্রবেশের পর থেকে সেখানে ঘটতে থাকে চূড়ান্ত পর্যায়ের ভ’য়াবহতা। এ কারণেই উপস্থিত অ’তিথিরা মানসিক ও শাররীরিকভাবে ভেঙে পড়েন। আর তাই ১০ ঘণ্টা কা’টানোর আত্মবিশ্বা’স নিয়ে বাড়িতে ঢুকলেও বেরিয়ে আসতে হয় প্রা’ণ নিয়ে। যারা এ বাড়ির কঠিন অ’ভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তাদের অ’ভিযোগ, সেখানে ভুক্তভোগীদের মা’রধর, শ্বা’সরোধ, কা’টা, নে’শাজাতক পদার্থ গ্রহণ করানো, জো’রপূর্বক বমি করানো এবং ওয়াটারবোর্ডিংসহ নানা ধরনের কাজ করানো হয়। যা কারও পক্ষেই করা সম্ভব নয়।
২০১৫ সালে গার্ডিয়ান পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাত্কারে, এ বাড়ির মালিক ম্যাককেমি স্বীকার করেন, একবার একজন পরিদর্শক হার্ট অ্যাটাকও করেরছন। বাড়ির ভেতরে ভ’য়ঙ্কর সব কর্মকা’ণ্ডের ব্যবস্থা করা আছে। এই কারণেই মানসিক ও শারীরিকভাবে যারা সুস্থ; তাদেরকেই এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়।
অ্যামি মিলিগান নামের একজন দর্শনার্থী ২০১৫ সালে গিয়েছিলেন ওই বাড়িতে। তাকে থাপ্পড় দিয়ে ওয়াটারবোর্ডে পাঠানো হয়েছিল। যা খুবই অমানবিক আচরণ ছিল। আরেক দর্শনার্থী লরা হার্টজ ব্রাদারটনের সঙ্গে ঘটে আরো হৃদয়বিদারক ঘটনা। তারা হার্টজকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দিয়েছিল। এখনো তার শরীরে সেই আ’ঘাতের দাগ আছে। বিশেষ করে হার্টজেরর মুখে বারবার আ’ঘাত করা হয়েছে।
লরা আরও বলেন, তাকে ওয়াটারবোর্ডে একটি খাঁচায় আ’ট’কে রাখা হয়। তখন তার হাত বাঁ’ধা ছিল। তারা খাঁচাটি বারবার পানির মধ্যে ডুবাচ্ছিল আবার উঠাচ্ছিল। এসময় তার লম্বা চুল গলায় জড়িয়ে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। লরা তাদের বারবার বলছিলেন, শ্বা’স নিতে পারছেন না তিনি। তবুও তারা ছিল নির্বিকার, তাদের মুখে ছিল অট্ট হাসি।’
রাশ ম্যাককেমি ২০১৪ সাল থেকে তার বাড়িতে এই ভুতুড়ে গেম শো চালু করেন। প্রতিজন অ’তিথি বা প্রতিযোগী বাড়িটিতে প্রবেশের সময় থেকেই ভিডিও রেকর্ড হওয়া চালু হয়। তার সঙ্গে কি কি করা হয়েছে, তা পরবর্তীতে দেখানো হয়। এ পর্যন্ত কেউই মা’রা যায়নি সেখানে। এমনকি কেউই ম্যাককেমি ম্যানর ট্যুর সম্পূর্ণ করতে পারেননি। আর তাই কেউ ১৭ লাখ টাকা পুরষ্কারও জিতেননি। সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টা থাকতে পেরেছিলেন কেউ কেউ।
জানলে অ’বাক হবেন, ভ’য়ঙ্কর হলেও ম্যাককেমি ম্যানর ট্যুরের চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছেই। ২০১৪ সালে ২৪ হাজার এবং ২০১৫ সালে ২৭ হাজার মানুষ এই বাড়িতে ঢুকে ভৌতিক অ’ভিজ্ঞতা নেন। যা এখনও চলমান আছে। চাইলে আপনিও আপনার দুঃসাহসের নজির গড়তে পারেন।