cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ওয়েছ খছরু: সিলেটে গ্রামে গ্রামে হানা দিয়েছে করো’না। এ কারণে করো’নায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিলেট। হাসপাতালমুখী বেড়েছে রোগীর স্রোত। বেড়েছে চিকিৎসা সংকটও। গ্রামের পরিস্থিতি উন্নতি হলে সিলেটের করো’না নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এজন্য সিলেটে গ্রাম এলাকায় গণটিকায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। জুন মাসের প্রথম দিকেও সিলেটে করো’না পরিস্থিতি নিয়ে স্বস্তিতে ছিলেন সবাই। তবে- করো’না ভা’রতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে শ’ঙ্কা ছিল।
কিন্তু জুনের শেষ দিকে এসে ভা’রতীয় ভ্যারিয়েন্ট গ্রাস করতে থাকে সিলেট’কে। লকডাউন দেয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। বিশেষ করে সিলেট নগরে অবাধে যাতায়াত করেছেন গ্রামের মানুষ। ফলে সিলেট নগর এলাকা করো’না ভা’রতীয় ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমিত হওয়ার পর গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ে এর বিস্তৃতি। জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে হঠাৎ করে পরিস্থিতি খা’রাপ হতে থাকে সিলেটে। করো’নায় মৃ’ত্যুর মিছিল শুরু হয়। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে সংক্রমণের হার। জুলাইয়ে সংক্রমণে হার বেড়ে ৫০ শতাংশের উপরে চলে যায়। গোটা জুলাই মাসজুড়ে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশের মধ্যে ওঠা-নামা করে শনাক্তের হার।
এই অবস্থায় হাসপাতালমুখী রোগীর চাপ বাড়ার কারণে চিকিৎসা নিয়ে সংকট তৈরি হয়। হাসপাতা’লে ঠাঁই হয়নি রোগীর। অক্সিজেনেও সংকট দেখা দেয়। জুলাইয়ের প্রথম দিক থেকে শুরু হওয়া করো’নার তা’ণ্ডব এখনো চলছে সিলেটে। সংক্রমণের হার একটু কমে ৩২ শতাংশে নেমে এসেছে। গত ৩-৪ দিন ধরে একই হারে সংক্রমণ রয়েছে। ১লা জুলাই থেকে গত ৫ সপ্তাহে সিলেটে করো’নায় মৃ’ত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় আড়াইশ’ জনে। এর মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ ২০ জনেরও মৃ’ত্যুর ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার রোগী। ১৬ মাসের মধ্যে সিলেটে ভ’য়ঙ্কর মাস হিসেবে কে’টেছে জুলাই। এই মাসে করো’নার সার্বিক পরিস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এখনো একই অবস্থা বিরাজ করছে। তবে- আর সংক্রমণ বাড়বে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মক’র্তারা।
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মোজয় দত্ত জানিয়েছেন, গত ৪-৫ দিন ধরে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে সিলেটের করো’না পরিস্থিতি। পরিস্থিতি আর অবনতি হবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বলেন, গত বছরও একই ভাবে আগস্ট থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত করো’নার সংক্রমণ ও মৃ’ত্যুর হার ছিল কম। এবারও একই ভাবে কমে আসতে পারে করো’না পরিস্থিতি। এদিকে, সিলেটে শহরের চেয়ে এখন করো’না পরিস্থিতি নিয়ে গ্রামেই সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক। সিলেটের উপজে’লাগুলোতে উপসর্গ নিয়ে বেড়েছে মৃ’ত্যুর মিছিল। গ্রামের মানুষ করো’না উপসর্গে ভুগলেও নমুনা পরীক্ষা করাতে অনীহা দেখাচ্ছেন। সিলেটের বিশ্বনাথের টেংরা গ্রাম। এই গ্রামের মানুষ ঘরে ঘরে ছিলেন সর্দি জ্বরে আ’ক্রান্ত। গত ৩ মাসে এই গ্রামের ৫-৬ জন প্রবীণ মুরব্বি মা’রা গেছেন। তারা দীর্ঘদিন মৃ’ত্যু শয্যায় থেকে মা’রা যান। তাদের এই মৃ’ত্যুকে স্বাভাবিক মৃ’ত্যু মনে করা হলেও গ্রামের ঘরে ঘরে মানুষ সর্দি-জ্বরে আ’ক্রান্ত হওয়ায় দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। এমনকি গ্রামের বেশি আ’ক্রান্ত পরিবারগুলোকে আইসোলেটেড করে রাখা হয়।
ইতিমধ্যে গ্রামের সচেতন মানুষজন বৈঠক করে পরিস্থিতি ভ’য়াবহ হওয়ার আশ’ঙ্কায় নিজ থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করছেন। গ্রামে কেউ শ্বা’সক’ষ্টে ভুগলে যাতে দ্রুতই সেবা দেয়া যায় সে ব্যবস্থা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে করা হয়েছে। গ্রামের মুরব্বি ও আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আহম’দ জানিয়েছেন, আসলে গ্রামে করো’না আতঙ্ক নেই। মানুষ করো’না পরীক্ষায় আগ্রহী না থাকায় করো’নার প্রকৃত অবস্থা বুঝা যাচ্ছে না। এরপর সতর্কতার অংশ হিসেবে প্রবাসীদের সহযোগিতা নিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি ভ’য়াবহ হলে যাতে মোকাবিলা করা যায় সে কারণে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে- বিশ্বনাথের ওই টেংরা গ্রাম নিয়ে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওই গ্রামে যাতায়াতও কমিয়ে দিয়েছেন আশেপাশের গ্রামের মানুষজন।
বিশ্বনাথের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মক’র্তা আব্দুর রহমান মু’সা গতকাল বিকালে জানিয়েছেন, বর্তমানে উপজে’লা সদর কিংবা গ্রাম সবখানেই শনাক্ত হচ্ছে করো’না রোগী। গ্রামের মানুষ আ’ক্রান্ত হওয়ায় দুশ্চিন্তা কাটছে না। তার উপজে’লায় এখনো শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের উপরে। এ পর্যন্ত ৬০০ জন করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে গত মাসের শেষ দিকে সিলেটের স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালকের দায়িত্ব নিয়ে ডা. হিমাংশু লাল রায় ঘোষণা দিয়েছিলেন; সিলেটের শহরের হাসপাতালগুলোতে করো’না আ’ক্রান্ত রোগীর চাপ কমাতে উপজে’লা হাসপাতালগুলোতে করো’নার চিকিৎসা পরিধি বাড়ানো হবে। এরপর থেকে উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও রোগী ভর্তি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে সেবা দেয়া হচ্ছে। সেটি যাতে আরও বাড়ানো যায় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের এই পরিচালক। তিনি জানান, সিলেট নগরের চাপ কমাতে হলে উপজে’লা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে করো’নার চিকিৎসা পরিধি বাড়াতে হবে।
মৃ’ত্যু ৭ জনের: সিলেট বিভাগে গতকাল সকাল পর্যন্ত ৫৯১ জন করো’নাভাই’রাসে আ’ক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট করো’না প্রমাণিত রোগীর সংখ্যা ৪৫ হাজার ১৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে বিভাগে নতুন করে আরও ৭ জন রোগী মা’রা গেছেন। এ নিয়ে বিভাগে করো’নায় মা’রা গেলেন ৭৮৮ জন রোগী। নতুন আ’ক্রান্ত রোগীর মধ্যে ২৮৯ জনই সিলেট জে’লার বাসিন্দা। এ ছাড়া বিভাগে সুনামগঞ্জ জে’লার ৭১ জন, হবিগঞ্জের ৪২ জন ও মৌলভীবাজার জে’লার বাসিন্দা ১৮৮ জন। সিলেট বিভাগে রোববার দৈনিক শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৯০ শতাংশ। যার ৩২ দশমিক ১৯ শতাংশ সিলেট জে’লায়, সুনামগঞ্জে ২৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ, হবিগঞ্জে ২৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও মৌলভীবাজারে ৩১ দশমিক ৯২ শতাংশ। মৃ’ত্যুবরণকারী ৭ জনের মধ্যে ২ জন সিলেট জে’লার, সুনামগঞ্জে ৩ জন, ১ জন হবিগঞ্জ ও একজন মৌলভীবাজার জে’লার বাসিন্দা। এ নিয়ে বিভাগে মৃ’ত্যুবরণ করা মোট রোগীর সংখ্যা ৭৮৮ জন। এর মধ্যে সিলেট জে’লার ৫৯০ জন, সুনামগঞ্জে ৫৮ জন, হবিগঞ্জে ৩৯ জন, মৌলভীবাজারে ৬৩ জন ও সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে ৩৮ জন।