cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
মকিস মনসুর: জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ পুত্র, রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সংগঠক শেখ কামালের জন্মদিন, আজ বেঁচে থাকলে বয়স হত ৭২ বছর। সে সময় তরুণ সমাজের একটা ভরসার স্থল ছিল শেখ কামাল। যে কোনো ভালো উদ্যোগে তাঁকে পাশে পাওয়া যাবে এটাই ছিল নিপাতনে সিদ্ধ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সবার আগে ঘাতকরা মেরে ফেলে এই মানুষটিকে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য প্রতিভাবান তরুণ শেখ কামাল ঢাকার শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট শাহাদাতবরণের সময় তিনি স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
শেখ কামালের শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এর ২০৯ পৃষ্ঠায় লিখেছেন-
একদিন সকালে আমি ও রেণু বিছানায় বসে গল্প করছিলাম। হাচু ও কামাল নিচে খেলছিল। হাচু মাঝে মাঝে খেলা ফেলে আমার কাছে আসে আর ‘আব্বা’ ‘আব্বা’ বলে ডাকে। কামাল চেয়ে থাকে। একসময় কামাল হাসিনাকে বলছে, ‘হাচু আপা, হাচু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি।’ আমি আর রেণু দু’জনেই শুনলাম। আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে গিয়ে ওকে কোলে নিয়ে বললাম, ‘আমিতো তোমারও আব্বা।’ কামাল আমার কাছে আসতে চাইত না। আজ গলা ধরে পড়ে রইলো। বুঝতে পারলাম, এখন আর ও সহ্য করতে পারছে না।
শহীদ শেখ কামাল ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন। পাকহানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কস্থ বাসভবন আক্রমণ করার আগের মুহূর্তে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি সরাসরি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ারকোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তি বাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও শেখ কামালের ছিল দীপ্ত পদচারণা। আইয়ুব খান দেশে রবীন্দ্র সঙ্গীত নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে শেখ কামালও অন্যদের সঙ্গে প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন। ছায়ানটের যন্ত্রসঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে নিয়মিত সেতার বাজানো শিখতেন। কেবল নিজেই সংগীতচর্চা করেননি, একইসঙ্গে অন্যদেরও উৎসাহিত করেছেন সমানভাবে।
শিল্প-সংস্কৃতির পাশাপাশি ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় খুবই উৎসাহী ছিলেন। স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কর্মসূচির অগ্রসৈনিক ছিলেন।
সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে সমাজ চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণে মঞ্চনাটক আন্দোলনের ক্ষেত্রে শেখ কামাল ছিলেন প্রথম সারির সংগঠক। উপমহাদেশের অন্যতম ক্রীড়া সংগঠন ও আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক শেখ কামাল ছিলেন আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা।
বহুমাত্রিক গুণের পাশাপাশি মানুষ হিসেবে শেখ কামাল ছিলেন উদার এবং বিনয়ী। দেশের জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পুত্র হওয়া সত্বেও তার ভেতরে কোনও অহমিকার প্রকাশ ঘটতে দেখা যায়নি। খুব দ্রুত সময়ে অন্যকে আপন করে নিতে পারার এক অসাধারণ গুণ ছিল তার।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ শেখ কামাল ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তিনিও ঘাতকদের হাতে নির্মম ভাবে নিহত হন ।
তরুণ সমাজের একটি ভরসারস্থল.ধ্রুপদী আর আধুনিকতার অপূর্ব সংমিশ্রনে বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী ক্ষনজন্মা এই স্বপ্নবান মানুষ শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এরব জন্মদিনে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাচ্ছি এবং দোয়া করি মহাণ আল্লাহু রাব্বুল আলামিন যেনো উনাকে সহ ১৫ ই আগষ্টে নিহত সকল শহীদানদের জান্নাতবাসী করেন আমিন।
লেখক পরিচিতি:- লেখক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর বৃটেনের কমিউনিটি সংগঠক বাংলাদেশের একজন সাবেক ছাত্রনেতা ছিলেন ; তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য, ইউকে ওয়েলস যুবলীগের ও ওয়েলস ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং জাস্টিস ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড ১৯৭১ ইউকে ও হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ইন ইউকের সভাপতি ছাড়া ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত-বার্ষিকী মুজিববর্ষ উদযাপন নাগরিক কমিটি ওয়েলসের যুগ্ম আহবায়ক ও ওয়েলস আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।