cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
হিফজুর রহমান পেশায় দিনমজুর। নিজের কোনা সম্পদ নেই। একেবারেই হতদরিদ্র। থাকেন মামা’র বাড়িতে। মায়ের তরফ থেকে পাওয়া জমিতে মাটির একটা ঘর করেছেন। সেখা্নেই স্ত্রী’ আর দুই সন্তান নিয়ে থাকেন।
এই ভাঙা ঘরেই মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় অথবা বুধবার ভোরে ঢুকে পড়ে আঁতাতায়ী। হিফজুরের স্ত্রী’ ও দুই শি’শু সন্তানকে কু’পিয়ে হ’ত্যা করে তারা। কুপানো হয় হিফুজরকেও। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। বুধবার সকালে পু’লিশ তাকে উ’দ্ধার করে ওসমানী হাসপাতা’লে প্রেরণ করেছে। তার অবস্থাও আশ’ঙ্কাজনক।
এদিকে, ঘরে ঢুকে তিনজনকে হ’ত্যার ঘটনায় গোয়াইনঘাট উপজে’লাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় করেছেন। বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন পু’লিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্ম’দ ও পু’লিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহম’দ।
পু’লিশের প্রাথমিক ধারণা জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে এই হ’ত্যাকা’ন্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আ’হত হিফজুর কিছুটা সুস্থ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে হা’মলাকারীদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে পু’লিশ।
বুধবার দুপুরে উপজে’লার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি দক্ষিণ পাড়া গ্রামের ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িজুড়ে মানুষের ভিড়। পু’লিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরাও জড়ো হয়েছেন সেখানে। ঘরের ভেতরে মাটির মেঝে লাল হয়ে আছে র’ক্তে।
হিফজুরদের প্রতিবেশি, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইস’লাম বলেন, হিফুজর তার মামা’র বাড়িতে ঘর বানিয়ে থাকেন। তার বাড়ি পাশ্ববর্তী গ্রামে।
তিনি বলেন, হিফজুরের কোনো শত্রু আছে বলে আমা’র জানা নেই। কারা এই হ’ত্যাকা’ন্ড ঘটিয়েছে তা বুঝতে পারছি না। আমি এই হ’ত্যাকা’ন্ডের বিচার চাই।
গোয়ানঘাট থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ বলেন, দুর্বৃত্তরা হিফজুরদের ঘরে ঢুকে তাদের বটি দা দিয়েই সবাইকে কু’পিয়ে হ’ত্যা করে। র’ক্তমাখা সেই বটি দা উ’দ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আম’রা অনেকগুলো মোটিভ নিয়ে কাজ করছি। তবে এটি ডা’কাতির কোনো ঘটনা নয়। হিফজুররা একেবারেই দরিদ্র। তাছাড়া ঘরের কোনো জিনিসপত্র খোয়াও যায়নি।
ঘটনাস্থল থেকে সিলেটের পু’লিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহম’দ বলেন, কী’ কারণে হ’ত্যা করা হয়েছে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে জমিসংক্রান্ত কোনো বিরোধ রয়েছে কী’ না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনান্য বিষয়গুলোও আম’রা খতিয়ে দেখবো। আ’হত হিফজুরের সাথে কথা বললেও কিছু তথ্য পাওয়া যাবে।
এসপি বলেন, পু’লিশ খুব আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি। আশাকরছি দ্রুতসময়ের মধ্যে আম’রা ক্লু উ’দ্ধার করতে পারবো।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে বিন্নাকান্দি দক্ষিণ পাড়া গ্রামে ঘরে প্রবেশ করে তিনজনকে কু’পিয়ে হ’ত্যা করা হয়। নি’হতরা হলেন- হিফজুরের স্ত্রী’ আলিমা বেগম (৩০), তার দুই সন্তান মিজান (১০) এবং তানিশা (৩)। এছাড়া গুরুতর আ’হত হয়েছেন হিফজুর রহমান। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়েছে।
নি’হতদের সকলের গলা ও মা’থায় কোপানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, বুধবার সকালে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুম থেকে উঠছিলেন না হিফজুরের পরিবারের সদস্যরা। দেরী দেখে প্রতিবেশিরা হিফজুরের ঘরের সামনে যান। এসময় ভেতর থেকে কা’ন্নার শব্দ শুনে দরজায় ধাক্কা দেন তারা।
প্রতিবেশিরা জানান, দরজার সিট’কিনি খোলাই ছিলো। ভেতরে প্রবেশ করে খাটের মধ্যে তিন জনের জবাই করা ম’রদেহ ও হিফজুরকে র’ক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তারা। পরে পু’লিশে খবর দিলে গোয়াইনঘাট থা’নার এসআই মহসিনের নেতৃত্বে একদল পু’লিশ গিয়ে লা’শ তিনটি উ’দ্ধার করেন এবং হিফজুরকে হাসপাতা’লে পাঠান। হিফজুরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে দায়ের কোপ রয়েছে।