সিলেট বিভাগে গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫১ জনের শরীরে করো’নাভাই’রাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে করো’নায় মা’রা গেছেন একজন।
ওই ব্যক্তি সিলেট জে’লার বাসিন্দা। এ নিয়ে বিভাগে করো’নায় সংক্রমিত হয়ে মোট ৩৭৩ জনের মৃ’ত্যু হলো। আর বিভাগে মোট করো’নায় সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়াল ২১ হাজার ৩৩৯।
এদিকে সিলেটে করোনা ভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হয়ে আসমা বেগম (৪৮) নামের এক নারী মা’রা গেছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ’ত্যু হয়। তিনি ৯ দিন আগে ভা’রত থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন। দক্ষিণ সুরমা’র বাসিন্দা ওই নারী করোনায় আ’ক্রান্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লের উপপরিচালক হিমাংশু লাল রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৯ দিন আগে আসমা বেগম ভা’রত থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন। তিনি কিডনিজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। পরে তাকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যশোর বক্ষব্যাধি হাসপাতা’লে কোয়ারেন্টিনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। সেখানে ৯ দিন চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার সকালে বিশেষ ব্যবস্থায় তাকে সিলেটে প্রেরণ করা হয়।
সিলেটে আনার পর যশোর থেকে ওই নারীর করো’না পরীক্ষার প্রতিবেদন ‘পজিটিভ’ আসে। সিলেটে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ৩১ শয্যার খাদিমনগর হাসপাতা’লে কোয়ারেন্টিনে পাঠান। পরে সেখানে নেওয়ার পর বেলা ১১টার দিকে তিনি অ’সুস্থ হয়ে পড়লে আবার সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়। হাসপাতা’লে ভর্তির প্রায় এক ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ’ত্যু হয়।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লের উপপরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, নি’হতের ম’রদেহ দুপুরেই পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।