সর্বশেষ আপডেট : ৮ ঘন্টা আগে
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

মুক্তিযোদ্ধা ভাতার পুরো টাকা না দেয়ায় মাকে বের করে দিল ছে’লে

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজে’লার হাতিয়া ইউনিয়নের ঘোলদারপাড়া গ্রামে এক মৃ’ত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী’কে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তার ছে’লে। মুক্তিযোদ্ধা বাবার সম্মানী ভাতার পুরো টাকা হস্তগত করতে না পেরে নিজ মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ছে’লে আতাউর রহমান ও পুত্রবধূ লিপি বেগম।

এ ঘটনায় উপজে’লা নির্বাহী অফিসারকে অ’ভিযোগ করা হলে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি ত’দন্ত করে সমাধানের কথা বলেন। কিন্তু তারপরও একমাস ধরে মে’য়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন ওই হতভাগী মা।

মৃ’ত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী’ রাবেয়া বেওয়া জানান, দুই বছর আগে তার স্বামী গোলজার হোসেন মা’রা যান। চার সন্তানকে স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বণ্টন করে দিয়ে আসছিলেন তিনি। কিন্তু ছে’লে আতাউর রহমান ও পুত্রবধূ লিপি বেগম পুরো টাকা দাবি করে।

সেই টাকা না দেয়ায় রাবেয়া বেওযার উপর চলে মানষিক নি’র্যা’তন। এরই জের ধরে গত ৩০ জানুয়ারি আতাউর রহমান ও তার স্ত্রী’ লিপি বেগম ঝগড়ার এক পর্যায়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে রাবেয়া বেওয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বাধ্য হয়ে পার্শ্ববর্তী গুনাইগাছ ইউনিয়নের কৃঞ্চ’মোহন গ্রামে মে’য়ে গো’লাপী বেগমের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি।

গত একমাস ধরে অ’পেক্ষা করেও সন্তানদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে ইউএনও বরাবর অ’ভিযোগ করেন তিনি। ওই মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী’র আশা- জীবনের শেষ দিনগুলো স্বামীর ভিটায় পার করে দেয়া। সেইসঙ্গে ছে’লে ও বউয়ের নি’র্মম অ’ত্যাচারের বিচার চান তিনি।

তবে অ’ভিযোগ অস্বীকার করে ছে’লে আতাউর রহমান বলেন, আমাকে বঞ্চিত করে টাকা-পয়সা, জমি-জমা সব তিন সন্তানকে ভাগ করে দেন মা। আমি প্রতিবাদ করায় তিনি রাগ করে বোনের বাড়িতে চলে গেছেন। ঘরের জিনিসপত্র যাতে চু’রি না যায় এজন্য মায়ের ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়েছি।

বিষয়টি নিয়ে হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মাস্টার বলেন, ইউএনওর কাছ থেকে নির্দেশনা পেয়েছি। বিট পু’লিশিং অফিসারসহ ওই মাকে নিয়ে এসে আম’রা সালিশ বৈঠক করব। আশা করছি বিধবা মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী’কে তার প্রাপ্য সম্মানটুকু আম’রা দিতে পারব।

এ ব্যাপারে উলিপুর উপজে’লা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি অ’ভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অ’ভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি যেহেতু পারিবারিক তাই সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনাটির দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করে দিতে বলা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: