সর্বশেষ আপডেট : ১৩ ঘন্টা আগে
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

করোনা পরিস্থিতিতে রংপুরের পুলিশের অনন্য ভূমিকা

করোনা প্রতিরোধে সাহসী ভূমিকা পালন করছে পুলিশ সুপারের (এসপি) নেতৃত্বে রংপুরের পুলিশ। গত মার্চ থেকে করোনা প্রতিরোধে কাজ করতে গিয়ে জেলার ৪৮ জন পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জন সুস্থ হয়েছেন। তবুও থেমে নেই করোনা প্রতিরোধে কার্যক্রম।

পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মার্চ মাসে দেশে করোনা রোগ সম্পর্কে জানার পর প্রতিরোধে জেলা পুলিশের উদ্যোগে নানামুখী কর্মকাণ্ড শুরু করা হয়। করোনার ভয়াবহতা ও প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করতে মাঠপর্যায়ে প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়। বিভিন্ন হাট-বাজারে গ্রামে-গঞ্জে ও শহরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের সদস্য মাইকিং করে মানুষের মাঝে করোনা প্রতিরোধের জন্য সামাজিক দূরত্ব মানতে উৎসাহিত করেন।

এ জন্য তারা কোনো কোনো ক্ষেত্রে মসজিদের মাইক ব্যবহার করেছেন। জেলায় করোনা সংক্রমণ শুরু হলে লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য সেনাবাহিনী জেলা ও প্রশাসকসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করে পুলিশ। হাওর অঞ্চলের ধানকাটতে কৃষি শ্রমিক পাঠাতেও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় রংপুর থেকে প্রায় ৫ হাজার কৃষি শ্রমিক বিশেষ ব্যবস্থায় পাঠানো হয়।

এসপি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, করোনা প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। এ জন্য রংপুরের হস্তজাত শিল্প প্রতিষ্ঠান কারুপণ্য রংপুর লিমিটেডের সহযোগিতায় তাদের বিনামূল্যে বিতরণের জন্য তৈরিকৃত ৩০ হাজার মাস্ক ও হ্যান্ড ওয়াশ রংপুরের ৮টি থানা এলাকায় বিতরণ করা হয়। শুধু তাই নয়, নিজেদের অর্থায়নে ও বিভিন্ন ব্যক্তির সহায়তায় এ সব কার্যক্রম এখনও তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।

করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী মানুষের পাশাপাশি নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো খাদ্য সংকটে পড়লে জেলা পুলিশের উদ্যোগে তাদের মাঝে খাদ্য সরবরাহ এখনও অব্যাহত রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার তারা সবচেয়ে সংকটে রয়েছে। কারণ তারা প্রকাশ্যে সহায়তা চাইতে পারছেন না। এমন পরিবারের সদস্যদের মাঝে তিনি গোপনে খাদ্য সহায়তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, যে সব পুলিশ সদস্যের পরিবার সংকটে আছেন তাদেরও সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

এসপি জানান, এ তৎপরতা আগামী ঈদের পরও চলমান থাকবে। যতদিন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততদিন পর্যন্ত জেলা পুলিশের পক্ষে এ কাজ অব্যাহত থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: