cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর পৌরসভায় ৫ শতাধিক হতদরিদ্র দুস্থ মানুষের ভাগ্যে ৭ দিনেও জোটেনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী।
সরকারদলীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের বাধার মুখে পৌর মেয়র এ ত্রাণ সহায়তা দিতে পারছেন না। ফলে স্যাঁতস্যাঁতে গুদামে নষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে ত্রাণসামগ্রীগুলো।
পৌর মেয়র তারিক আবুল আলা জানান, ১২ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে যথাযথ যাচাই-বাছাই করে উলিপুর পৌরসভার ৫ শতাধিক দুস্থ মানুষের তালিকা প্রস্তত করা হয়। পরে পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত শনিবার সকালে পৌরসভা চত্বরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারসামগ্রী (মানবিক খাদ্য সহায়তা) বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সে মোতাবেক উপকারভোগীদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকতে মোবাইলে খবর দেয়া হয়। প্রতি প্যাকেজে ছিল ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু, ১টি মিষ্টি কুমড়া ও ১টি বিস্কুটের প্যাকেট।
বিতরণের পূর্ব মুহূর্তে উলিপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়রকে মোবাইলে বিতরণ বন্ধ রাখতে বলেন।
তারা জানান, লিস্ট যাচাই-বাছাই করব, তারপর বিতরণ হবে। এ হুমকিতে আমরা একটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাই।
হতাশা ব্যক্ত করে পৌর মেয়র বলেন, সরকারি ত্রাণ যদি সরকারি দলের নেতারাই বিতরণে বাধা দেয়, তাহলে আমরা কি করতে পারি। এ দিকে এ ঘটনায় উপস্থিত লোকজন ত্রাণ পাবে না জেনে হট্টগোল শুরু করে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কোনো সমাধান না হওয়ায় হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয় তালিকাভুক্ত দুস্থদের। তারা প্রতিদিন যোগাযোগ করছেন। কিন্তু আমরা ত্রাণ দিতে পারছি না সরকারি দলের প্রভাবশালী এ নেতাদের সম্মতি না থাকায়।
তিনি বলেন, আমরা গত বৃহস্পতিবার ত্রাণসামগ্রী উত্তোলন করি। শুক্রবার রাতে সেগুলো প্যাকেটজাত করা হয়। এ সময় স্থানীয় এমপি অধ্যাপক এমএ মতিন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদেরেরও সম্মতি নেয়া হয়। এর পরও বিতরণ করা যায়নি। ত্রাণে কাঁচামালসামগ্রী থাকায় তা পচে নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে।
উলিপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ত্রাণ বিতরণে বাধা দেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, তালিকা যাচাই করে দেখা গেছে এর মধ্যে বেশ কয়েকজন পূর্বের সুবিধাভোগী রয়েছে। তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন করে তালিকা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে আজ–কালের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদের জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। পৌরসভার জন্য স্বতন্ত্র কমিটি রয়েছে তারা এটা দেখভাল করবে। পৌরসভার ত্রাণ বিতরণে অন্য কোনো পক্ষের বাধা দেয়ার সুযোগ নেই। এ ঘটনায় আমার কাছে কোনো ধরনের অভিযোগ আসেনি।
বিষয়টি নিয়ে উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মন্টু জানান, দলের কোনো নেতা বা কর্মী নির্ধারিত ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দিতে পারে না। তারা তালিকা যাচাই-বাছাই করতে যাবে কেন। এটা পৌরসভার কাজ পৌরসভাই করবে। সূত্র : যুগান্তর