![]()

cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দা নদীর তীরবর্তী হারুয়া এলাকায় অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ-এর দানবাক্স খুলে এবার মিলেছে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ। তিন মাস ২৮ দিন পর শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় মসজিদের ১৩টি দানবাক্স খোলা হলে পাওয়া যায় ৩৫ বস্তা টাকা।
মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সের মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পার্শ্ববর্তী জামিয়া এমদাদিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী এবং রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি টাকা গণনার কাজে অংশ নেন। নির্ধারিত সময়ের তুলনায় দানবাক্স খোলার ব্যবধান বেশি হওয়ায় এবার অতিরিক্ত তিনটি টিনের ট্রাঙ্ক যুক্ত করা হয়।
এর আগে চলতি বছরের ৩০ আগস্ট চার মাস ১৮ দিন পর দানবাক্স খোলা হলে পাওয়া গিয়েছিল রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা। সে সময় বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদ তথ্য নিশ্চিত করেন। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা এবং পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেনের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা জানান, সাধারণত তিন মাস পরপর দানবাক্স খোলা হলেও এবার সময়ের ব্যবধান বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত তিনটি ট্রাঙ্ক যুক্ত করা হয়েছিল। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবার পাওয়া অর্থ আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
মসজিদের দান থেকে প্রাপ্ত অর্থ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। পাশাপাশি পাগলা মসজিদকে আন্তর্জাতিক মানের ইসলামিক কমপ্লেক্সে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’ নামে প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ কোটি টাকা। এখানে একসঙ্গে প্রায় ৬০ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট পাগলা মসজিদ পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি জানান, আধুনিক তুরস্কের নকশায় ১০ তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। দানবাক্সের অর্থ মসজিদের ১৩টি ব্যাংক হিসাবে এফডিআর হিসেবে সংরক্ষিত আছে এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ গরিব, অসহায়, অনাথ ও অসুস্থদের সহায়তায় ব্যয় করা হয়।
তিনি আরও প্রস্তাব দেন, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তায় এই তহবিল ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর। একই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদের মধ্যেই পাগলা মসজিদের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা সম্ভব হবে।