স্টাফ রিপোর্টার ::

দীর্ঘ দুই যুগ পর আগামীকাল শনিবার (৩১ মে) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সিলেট ব্যবসায়ী সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন। সিলেটের সাধারণ ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে সিলেটের ব্যবসায়ী সমাজে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ এবং এক ধরনের প্রত্যাশা—নতুন নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের দাবি-দাওয়া আদায় হবে।

নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সভাপতি মো. জিয়াউল হক এবং তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয় সমাজসেবক ও জনপ্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মুনিম। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. দিলওয়ার হোসেন ও তরুণ ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত সৈয়দ জাহেদ উদ্দিন।

সিলেট শহরের লালদিঘীপার, আমজাদ আলী রোড, কালিঘাট, মহাজনপট্টি, হযরত শাহচট রোড, চাউলবাজার ও ডাক বাংলা রোডসহ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত এ ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, “বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ রয়েছে। এবার পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি হয়েছে।”

সাধারণ ব্যবসায়ীরা আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, নজরুল ইসলাম মুনিম ও সৈয়দ জাহেদ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছেন। তারা নির্বাচিত হলে ব্যবসায়িক জটিলতা যেমন ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট, বিএসটিআই অনুমোদনসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক সমস্যা দ্রুত সমাধানে উদ্যোগী হবেন।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন বলেন, “এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ব্যবসায়ীরা গণতান্ত্রিক উপায়ে তাদের যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজে পাবেন। এমন নেতৃত্ব গড়ে উঠুক, যারা সবসময় ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবেন।”

সভাপতি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মুনিম বলেন, “দীর্ঘদিন যাবত আমরা নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। এবার সেই দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। একটি কার্যকর, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য। ব্যবসায়ীদের উন্নয়নই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।”

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সৈয়দ জাহেদ উদ্দিন বলেন, “আমি তরুণদের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও ঐক্যবদ্ধভাবে সবার সঙ্গে নিয়ে ব্যবসায়ীদের কল্যাণে কাজ করতে চাই।”

ব্যবসায়ীদের ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহিত করে প্রার্থীরা আহ্বান জানিয়েছেন, যেন সকল ভোটার কাল সকালেই ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেন এবং পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল