cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা এবং আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী আজ শুক্রবার (৩০ মে)। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল মাত্র ৪৫ বছর।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মনসুর রহমান এবং মাতার নাম জাহানারা খাতুন (রানী)। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তিনি ১৯৫২ সালে করাচি একাডেমি স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং পরে কাকুল মিলিটারি একাডেমি থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। পেশাগত জীবনে তিনি পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ, সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় অসামান্য দক্ষতা দেখান।
একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট নামক পরিকল্পনায় নিরীহ বাঙালিদের ওপর হামলা চালালে সারা দেশ এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে পড়ে। এই সময় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন—“আমি মেজর জিয়া বলছি…আমি বাংলাদেশের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করছি।” তার এই ঘোষণা মুক্তিকামী জাতিকে নতুন সাহস ও দিকনির্দেশনা দেয়। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের অধিনায়ক। সাহসিকতার জন্য তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করে বাংলাদেশ সরকার।
১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন এবং ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে মাত্র পাঁচ বছরে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, উৎপাদনমুখী রাজনীতি, দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান ও দেশীয় উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে অগ্রসর হয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদার আসনে জায়গা করে নেয়।
শহীদ জিয়ার জানাজায় জনসমুদ্র ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউকে প্লাবিত করে, সংবাদপত্রের শিরোনাম হয় “একটি লাশের পাশে সমগ্র বাংলাদেশ”। এটি প্রমাণ করে জাতির হৃদয়ে তার প্রতি কী গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ছিল। বিবিসি বাংলার জরিপে সর্বকালের সেরা ২০ বাঙালির তালিকায় তার স্থানও সেই জনপ্রিয়তার সাক্ষ্য দেয়।
শহীদ প্রেসিডেন্টের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলো আট দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা এবং আজ সকালে শেরেবাংলা নগরে তার মাজারে ফাতেহা পাঠ, পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং স্বেচ্ছায় রক্তদানের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শহীদ জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “তার আদর্শ, দর্শন ও কর্মসূচি আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার প্রধান হাতিয়ার।”
জিয়াউর রহমানের জীবন ছিল নীতিনিষ্ঠ, সাহসী এবং দুর্নীতিমুক্ত। জাতির সংকটময় মুহূর্তে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং মৃত্যুর আগপর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। তার রেখে যাওয়া রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রনৈতিক দর্শন আজও গণতন্ত্রপ্রত্যাশী মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে আছে।