cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নতুন করে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। রোববার (১৮ মে) রাতভর ভয়াবহ বিমান হামলায় শতাধিক বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর, উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় স্থল অভিযানের ঘোষণা দেয় তেলআবিব। গাজার একমাত্র সচল হাসপাতালটিও এই হামলায় অকার্যকর হয়ে পড়ে। এমন সময়ে এই অভিযান শুরু হলো, যখন যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কাতারের দোহায় ইসরায়েল ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের প্রতিনিধিদলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চলছে।
এই অভিযানকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। মানবিক সহায়তা কার্যত বন্ধ, হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে, আর খাদ্যসংকটও তীব্রতর হচ্ছে। জাতিসংঘের মতে, পুরো গাজা এখন দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে। কিন্তু বিপর্যস্ত গাজায় কেন ফের স্থল অভিযান শুরু হলো তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন এবং ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভাষ্যমতে, ‘যুদ্ধের সব ধরনের লক্ষ্য অর্জন করতেই’ এই নতুন অভিযান—যার নাম দেয়া হয়েছে ‘গিডিয়ন অভিযাত্রা’ যা শুরু হয়ে গেছে। এতে হামাসকে পরাজিত করা এবং আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করাই মূল লক্ষ্য বলে জানানো হয়।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দোহায় আবারও আলোচনা শুরু হওয়ায় একটি চাপ তৈরি হয়েছিল ইসরায়েলের ওপর। তাই যুদ্ধক্ষেত্রে আরও সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছাতে এবং হামাসের ওপর সামরিক চাপ বাড়িয়ে আলোচনায় প্রভাব বিস্তার করতেই এই আগ্রাসী কৌশল নিয়েছে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোট সরকার।
এদিকে, হামাস বলছে, তারা সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত, যদি ইসরায়েল আন্তর্জাতিক শর্ত মেনে যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা দেয়। তবে ইসরায়েল বরাবরের মতো বলছে, তারা কেবল হামাস আত্মসমর্পণ করলেই যুদ্ধ থামাতে রাজি।
আলোচনায় মাঝে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্যও আসে। হামাসের এক নেতা ৭ থেকে ৯ জিম্মি মুক্তির প্রস্তাব দিলেও পরে হামাস নিজেই তা অস্বীকার করে জানায়, তারা কেবল পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতিতে জিম্মিদের ছাড়বে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের পর শান্তি আলোচনায় কিছু গতি এসেছিল। কাতারে তার উপস্থিতিতে কূটনৈতিক উদ্যোগ বাড়ে। তবে ট্রাম্পের কিছু মন্তব্য, যেমন ‘আমরা গাজা নিয়ে নেব এবং তা স্বাধীনতার অঞ্চল বানাবো’—এমন অবান্তর প্রস্তাব অনেককেই হতবাক করেছে।
এদিকে, গাজায় মানবিক বিপর্যয় চরমে উল্লেখ করে জাতিসংঘ জানায়, ইসরায়েল ১১ সপ্তাহ ধরে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা আটকে রেখেছে। একমাত্র বেসরকারি সহায়তা সংস্থা ‘ গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন’ এর মাধ্যমে সীমিত খাদ্য প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে এই সংস্থাটিও সমালোচিত হচ্ছে, কারণ দক্ষিণ ও মধ্য গাজাতেই কেবল বিতরণকেন্দ্র খোলা হচ্ছে, যা উত্তর গাজার মানুষদের বাদ দিচ্ছে।
অন্যদিকে, ফের স্থল অভিযান নিয়ে ইসরায়েলের সাধারণ নাগরিক এবং জনমতে বিভক্ত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
ইসরায়েলের ভেতরে একাংশ মনে করছে, এই নতুন অভিযান জিম্মিদের জীবনের ওপর বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠবে।
জিম্মি এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরামের ভাষ্যমতে, ‘ ইসরায়েলে সরকারের এই কঠোর নীতির ফলে জীবিত জিম্মিরা মরছে, আর মৃতরা চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের (পিএনআই) সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফা বারঘুতি বলেন, ‘ইসরায়েলের এই নতুন সামরিক অভিযান গাজায় জাতিগত নিধনের স্পষ্ট প্রমাণ। তারা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করছে এবং মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত করছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে সম্পূর্ণ ভেস্তে দিতে পারে।’
প্রগতিশীল ইহুদি-আমেরিকান সংগঠন জে স্ট্রিট-এর প্রেসিডেন্ট, জেরেমি বেন-অ্যামি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা দখলের অবান্তর প্রস্তাব দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য মারাত্মক হুমকি। এই ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে শান্তি প্রতিষ্ঠা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।’
শিশুদের জন্য জনপ্রিয় ইউটিউব তারকা র্যাচেল গ্রিফিন আকুরসো বলেন, ‘গাজায় শিশুদের দুর্দশা নিয়ে কথা বলা কোনো রাজনৈতিক অবস্থান নয়, এটি মানবিক দায়িত্ব। আমি একজন মা এবং শিক্ষক হিসেবে সব শিশুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ প্রত্যাশা করি।’
যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা চললেও ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ড এবং কৌশলগত আগ্রাসন সেই আলোচনা ব্যর্থ করে দিতে পারে-এমন শঙ্কা আরও বাড়ছে। একদিকে মানবিক সংকট তীব্রতর হচ্ছে, অন্যদিকে আলোচনার দ্বার খোলা—এমন সাংঘর্ষিক বাস্তবতায় গাজার ভবিষ্যৎ ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে উঠছে।