cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
কোম্পানীগঞ্জে সংবাদদাতা ::
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৌলভীবাজারের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৪ জন তরুণ-তরুণীর যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার সাদাপাথর রিসোর্টে কোম্পানীগঞ্জ এসোসিয়েশন ইউকে’র আয়োজনে এই ব্যতিক্রমী গণবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।
যৌতুকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে এই আয়োজনটি করে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী কোম্পানীগঞ্জবাসীদের সংগঠন ‘কোম্পানীগঞ্জ এসোসিয়েশন ইউকে’। বর-কনের জন্য পোশাক, সংসার চালানোর প্রয়োজনীয় সামগ্রী, লেপ-তোশক এবং কর্মসংস্থান সহায়তায় একটি করে সেলাই মেশিন উপহার দেন আয়োজকরা। পাশাপাশি অতিথিদের জন্য খাওয়ার আয়োজনও ছিল বিয়ের রীতি অনুযায়ী।
তবে এই মহৎ উদ্যোগে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারের বিরুদ্ধে। আয়োজকদের অভিযোগ, অনুষ্ঠানের জন্য উপজেলা অডিটোরিয়াম বরাদ্দ থাকলেও শেষ মুহূর্তে অজুহাত দেখিয়ে তা বাতিল করে দেন ইউএনও। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজা-উন-নবী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং ইউএনও আজিজুন্নাহার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্মতি দিয়েছিলেন। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর আগের রাতে হঠাৎ অডিটোরিয়াম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরে সাদাপাথর হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে বিকল্প স্থান হিসেবে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
কোম্পানীগঞ্জ এসোসিয়েশন ইউকের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আমিনুর রশীদ বলেন, “এটি কোনো রাজনৈতিক বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মসূচি নয়। এমন মানবিক আয়োজনে প্রশাসনের এমন আচরণ দুঃখজনক। আমরা ইউএনও’র প্রত্যাহার এবং উপজেলাবাসীর কাছে তার ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানাই।”
এই ঘটনায় প্রবাসীরা মানববন্ধন কর্মসূচির পাশাপাশি বাংলাদেশ হাইকমিশন ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদানের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও আজিজুন্নাহার বলেন, “আমি তাদের কোনো আশ্বাস দেইনি, শুধু দরখাস্ত দিতে বলেছিলাম। বৃহস্পতিবার দরখাস্ত পাওয়ার পরই জানিয়ে দিয়েছি, সরকারি অডিটোরিয়াম সরকারি প্রোগ্রামের জন্য নির্ধারিত। বয়স, অভিভাবকসহ নানা বিষয় পরিষ্কার না থাকায় অনুমতি দেওয়া হয়নি।”
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সামাজিক কল্যাণমূলক এমন একটি উদ্যোগে সরকারি কর্মকর্তার এ ধরনের অসহযোগিতা অগ্রহণযোগ্য। এতে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির এই মহৎ উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।