সর্বশেষ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

পুলিশের ওপর ৬ মাসে ২২৫ হামলা

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবককে তল্লাশিচৌকিতে থামার জন্য ইশারা দেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী। এর কিছুক্ষণ পর ১০-১৫ জন এসে ‘ভুয়া পুলিশ’ অপবাদ দিয়ে ওই কর্মকর্তাকে মারধর শুরু করেন। ছিনিয়ে নেওয়া হয় সঙ্গে থাকা মুঠোফোন, মানিব্যাগ ও ওয়াকিটকি।

‘নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করলে সরকারের প্রতি জনগণের অনাস্থা আসবে‘
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানা এলাকার আউটার রিং রোডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, হামলা করে এসআই ইউসুফ আলীর পোশাক ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। অসহায় অবস্থায় অঝোরে কাঁদছেন তিনি। গত সোমবার তিনি বলেন, ‘যখন পুলিশের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে, তখন আর আবেগ ধরে রাখতে পারিনি, কেঁদে ফেলেছি।’

শুধু পতেঙ্গার ঘটনাই নয়, গত ছয় মাসে পুলিশের ওপর এ ধরনের ২২৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটানো হয়েছে উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণে বা ‘মব’ তৈরি করে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ২২৫টি ঘটনার মধ্যে ৭০টি বড় ধরনের আলোচনা তৈরি করে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ২৪টি, অক্টোবরে ৩৪, নভেম্বরে ৪৯, ডিসেম্বরে ৪৩, জানুয়ারিতে ৩৮ এবং ফেব্রুয়ারিতে ৩৭টি হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের এই পরিসংখ্যানের বাইরেও সড়কে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিরূপ আচরণের বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মব তৈরি করে হামলাগুলো করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পেশাদার অপরাধী ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও মব তৈরিতে ভূমিকা রাখছেন। এই মব তৈরি করে শুধু পুলিশের ওপরেই হামলা হচ্ছে তা নয়, বরং কোথাও কোথাও সাধারণ মানুষের ওপরও হামলা বা গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সাত মাসে দেশে গণপিটুনির অন্তত ১১৪টি ঘটনায় ১১৯ জন নিহত ও ৭৪ জন আহত হয়েছেন। এ তথ্য মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির।

সর্বশেষ ৩ মার্চ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ছনখোলা এলাকায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজনকে হত্যা করা হয়। পরদিন ৪ মার্চ মধ্যরাতে মব তৈরি করে রাজধানীর গুলশানে একটি বাসায় তল্লাশির নামে মালামাল তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাট করে একদল লোক।

বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের মব তৈরি এবং হামলার ঘটনায় পুলিশের সদস্যদের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়েও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ গত সোমবার পুলিশের ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও এসব ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

পুলিশ সদস্যরা বলছেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশে ভঙ্গুর অবস্থা তৈরি হয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে একশ্রেণির পুলিশ কর্মকর্তার রাজনৈতিক নেতাদের মতো ভূমিকা এবং গুলি ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের কারণে বিক্ষুব্ধ মানুষের হামলার লক্ষ্যবস্তু হয় পুলিশ। এরপর যখন নতুন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে, তখন এ ধরনের হামলার ঘটনাকে বাহিনীর মনোবলের ওপর বড় ধরনের আঘাত হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রংপুরে এক অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। নাগরিক সমাজের প্রতি আমার অনুরোধ, পুলিশকে আপনারা আবার কাছে টেনে নিন। পুলিশকে কাজ করতে সহায়তা করেন।’

চলছে আসামি ছিনতাই

শুধু হামলার ঘটনাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বিভিন্ন স্থানে থানায় হামলা এবং আসামি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটছে। গত এক সপ্তাহেই এমন অন্তত চারটি ঘটনার কথা জানা গেছে। ৪ মার্চ ভোলার বোরহানুদ্দিনে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হামলাকারীরা ছিলেন আসামির পরিবারের সদস্য। এই আক্রমণে আহত হয়েছেন পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক।

শুধু পুলিশ নয়, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপরও হামলা ও আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। ৫ মার্চ ঠাকুরগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলাকালে ডাকাতদের হামলায় নিহত হন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছরোয়ার নির্জন।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে পুলিশের অপেশাদার, অসৎ, ক্ষমতালিপ্সু ও উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তাদের কারণে পুরো পুলিশ বাহিনীর ওপর মানুষের একধরনের ক্ষোভ তৈরি হয়। নতুন সময়ে আমরা নতুনভাবে মানবিক পুলিশ গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। এই সময়ে মব তৈরি করে হামলা করে মনোবল না ভেঙে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করুন।’

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কেবল চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে পুলিশের কাছ থেকে অন্তত ১৩টি আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের শাসানো এবং রাজনৈতিক মঞ্চে প্রকাশ্যে পুলিশকে হুমকি এবং তাদের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করতে দেখা গেছে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ রেজাউল করিমের ছোট ভাই শেখ রাসেলের এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা হয়। তিনি এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে বলেন, ‘কে কী করেছে, কে আওয়ামী লীগ করেছে, সেটা বিষয় নয়। সবাই আমাদের মানুষ। চৌরঙ্গীর মানুষ। এদের অ্যারেস্ট করতে হলে আমাদের কাছে অনুমতি নিয়ে করতে হবে। এর বাইরে যদি একটা মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়, আমরা থানা ঘেরাও করব সবাই মিলে। কে কোন দল করেছে, ওটা দেখার বিষয় নয়।’

হামলা-হুমকি কেন, কারা করছে

বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনতাইয়ের ২০টি ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এসব ঘটনার পাঁচটিতে বিএনপির নেতা-কর্মী, দুটিতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, দুটিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি, ছয়টিতে মাদক কারবারি, দুটিতে চাঁদাবাজিতে জড়িত ব্যক্তি, একটিতে শীর্ষ সন্ত্রাসীর অনুসারীরা, একটিতে অটোরিকশাচালক এবং একটিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা জড়িত ছিলেন। বিএনপি নেতা পরিচয়ে এক আসামিকে (ছাত্রলীগ নেতা) ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে।

পুলিশের মাঠপর্যায়ের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এমন ধারণা তৈরি হয়েছে। এ কারণে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যরাও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এই সুযোগে একশ্রেণির বিএনপির নেতা-কর্মী মামলা ও গ্রেপ্তারসহ থানার কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছেন। আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অধিকাংশ ঘটনায় পুলিশ নীরব থাকছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের আশঙ্কা, তাঁরা সক্রিয় হলে নতুন করে হয়রানির মুখোমুখি হতে পারেন।

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা বাস্তবায়নের সবচেয়ে বড় অন্তরায় হলো মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক সখ্য। যার প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলায়। রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে এই সখ্যের কারণে অনেক সময় প্রকৃত অপরাধীরাও পার পেয়ে যায়।

পুলিশের ভূমিকা ও পরিকল্পনা কী

চাঁদাবাজির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলা করে একদল লোক। তখন এক পুলিশ সদস্যকেও মারধর করা হয়। হামলাকারীরা নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হিসেবে পরিচয় দেয় বলে জানায় স্থানীয় সূত্রগুলো। এ ঘটনার পর উল্টো অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশের উপপরিদর্শককে প্রত্যাহার করে পুলিশ।

অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে সেই রাতেই ভুক্তভোগী পুলিশ কর্মকর্তা উত্তরা এলাকা ছেড়ে আসেন। শুরুতে পুলিশ হামলার খবর স্বীকার করলেও পরে বাহিনীটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বিষয়টিকে ‘ভুল–বোঝাবুঝি’ উল্লেখ করে হামলার বিষয়টিকেই অস্বীকার করেন।

থানায় হামলার এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান। গতকাল তিনি বলেন, ভাঙচুর বা এমন কিছু হয়নি, তাই মামলাও হয়নি। আর তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে ওই এসআইয়ের কোনো অপরাধ ছিল না, তাই তাঁকে কাজে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের ওপর এ ধরনের হামলার ঘটনা নতুন নয়। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের ওপর হামলার ৩২১টি ঘটনা ঘটেছে। তবে পূর্ববর্তী ঘটনাগুলোতে মব তৈরি করে হামলার ঘটনা বর্তমান সময়ের মতো ছিল না বলে জানিয়েছে পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।

বর্তমানে হামলার ঘটনায় পুলিশের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কোনো সদস্য আক্রান্ত হলে আরও কঠোর হওয়ার চিন্তা করছে পুলিশ। এ অবস্থায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা হলো—আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটলে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করতে হবে। ইতিমধ্যে কিছু ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪-এ মামলা হয়েছে। এর বাইরে হামলাকারীদের প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন বা প্রতিরোধমূলক আটক করার চিন্তাও করছে পুলিশ।

৫ মার্চ রূপগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজের পশ্চিম পাশে ৩০০ ফিটের মাথায় রাস্তার ওপর পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকেরা। পুলিশ জানায়, সেদিন ঘটনাস্থলে ১৫০-২০০ জন রাস্তায় অবস্থান করে বিআরটিসি বাস বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। এ সময় বিআরটিসি বাস ভাঙচুর করা হয়। তখন পুলিশ থামাতে গেলে অটোরিকশাচালকেরা হামলা করে দুই পুলিশ সদস্যকে আহত করেন। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।

শক্তভাবে থামাতে হবে

অপরাধবিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধীরা পুলিশকে ভয় না পেলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব হয়ে উঠবে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে ছিনতাইকারী, মাদক কারবারিরাও যখন মব তৈরি করে পুলিশের ওপর হামলা করে, তখন এটি উদ্বেগের বিষয়। রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে আইন প্রয়োগে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, পুলিশ যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তখন তাঁদের ওপর হামলা, হুমকি ও আসামি ছিনতাই বাহিনীটিকে নতুন সংকটে ফেলছে। অনেক ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক আশীর্বাদ রয়েছে। রাজনৈতিক নেতারা অপরাধীদের রক্ষা করতে পারেন এমন ধারণা কোনোভাবেই গড়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। তিনি মনে করেন, এ ধরনের ঘটনায় নতি স্বীকার না করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশকে আরও কঠোর হতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: