সর্বশেষ আপডেট : ৩৫ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড আগে
শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

নিউইয়র্কে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড়ের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা, কমিউনিটিতে আতঙ্ক

ডেইলি সিলেট রিপোর্ট :

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পর, ইমিগ্রেশন ক্র্যাকডাউন এবং অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিউইয়র্ক শহরের ব্যস্ত এলাকাগুলোতে গ্রেপ্তার আতঙ্কের কারণে অনেক স্থানে মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে কুইন্স, ব্রুকলিন এবং ব্রঙ্কসের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় রেস্টুরেন্ট ও গ্রোসারি স্টোরগুলোতে কর্মী সংকট দেখা গেছে, যা শহরের অর্থনৈতিক চিত্রকে প্রভাবিত করেছে।

গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পর, এসব এলাকার ফুটপাত, দোকানপাট এবং স্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে স্থানীয় শ্রমিকরা কাজে যাচ্ছেন না এবং অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। বিশেষ করে অবৈধ অভিবাসীরা ভয় পেয়েছেন এবং তাদের অধিকাংশই নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন।

জ্যাকসন হাইটস ও রুজভেল্ট অ্যাভিনিউ এলাকায় ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক সপ্তাহে তাদের দোকানে বেচাকেনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এক রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জানান, কর্মীরা কাজ করতে আসছেন না এবং কেউ ফোনও ধরছেন না, যার কারণে রেস্টুরেন্ট চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন গ্রোসারি এবং রেস্টুরেন্টের বাংলাদেশি কর্মীরা আতঙ্কের কারণে কাজে আসছেন না, যার ফলে মালিকরা নিজেই কাজ করছেন।

এদিকে, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এর অভিযান দেশের বিভিন্ন শহরে চালানো হচ্ছে। ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১ হাজার ১৭৯ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এর মধ্যে অনেকেই অবৈধভাবে কাজ করছিলেন, যদিও তারা স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসন এই অভিযানকে ত্বরান্বিত করতে সেনাবাহিনীর বিমান ব্যবহার করছে, কারণ ডিটেনশন সেন্টারের ৪১ হাজার শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে এবং অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

নিউইয়র্কের বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকরা এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ তারা জানেন যে, অবৈধ অভিবাসীদের কাজের কারণে অনেক কম মজুরিতে কাজ করানো সম্ভব হচ্ছিল, যা ব্যবসার জন্য লাভজনক ছিল। কিন্তু, গ্রেপ্তারের কারণে বর্তমানে তাদের আয় কমে গেছে এবং ব্যবসা পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এদিকে, ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার পর থেকে অভিবাসন বিষয়ক একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে শরণার্থী ভর্তি প্রোগ্রাম বন্ধ করা, জন্মগত নাগরিকত্বের সমাপ্তি এবং বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কিছু কার্টেলকে মনোনীত করা। এই পদক্ষেপগুলোও অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে অস্থিরতা এবং আতঙ্ক তৈরি করছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: