cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়ান দর্শকদের উসকানিমূলক আচরণের প্রতিক্রিয়ায় বিরাট কোহলির ‘স্যান্ডপেপার’ ইঙ্গিত কেবল তার জন্যই নয়, বরং পুরো ভারতীয় দলকে সমালোচনার মুখে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার। তার মতে, কোহলির এই ধরনের উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিক্রিয়ার ফলে ভারতীয় দলের অন্য খেলোয়াড়রাও অস্ট্রেলিয়ান সমর্থকদের টার্গেটে পরিণত হন।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে লেখা এক কলামে গাভাস্কার বলেছেন, ‘কোহলিকে বুঝতে হবে, মাঠে তার প্রতিক্রিয়া কেবল তার উপর নয়, তার সতীর্থদের ওপরও বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। তারা তখন অস্ট্রেলিয়ান দর্শকদের লক্ষ্যবস্তু হয়ে যায়।’
সিডনি টেস্টে কোহলি তার ট্রাউজারের খালি পকেট বের করে ২০১৮ সালে ঘটে যাওয়া ‘স্যান্ডপেপার গেট’ কেলেঙ্কারির দিকে ইঙ্গিত করেন, যা নিয়ে তখন থেকেই বিতর্ক চলছে। গাভাস্কারের মতে, এই ধরনের আচরণ ক্রিকেটের চেতনাবিরুদ্ধ এবং দলকে অযথা চাপের মধ্যে ফেলে দেয়।
এর আগেও বক্সিং ডে টেস্টে ১৯ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান অভিষিক্ত ক্রিকেটার স্যাম কনস্টাসকে কাঁধের গুঁতো দেন কোহলি, যা নিয়েও সমালোচনা হয়। গাভাস্কার বলেন, ‘এটি খেলার অংশ নয়। ভারতীয়রা কখনোই প্রতিক্রিয়া দিতে ভয় পায় না, তবে এখানে প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজন ছিল না। দর্শকদের উদ্দেশ্য খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগতভাবে অপমান করা নয়, বরং তারা মাঠে মজা করতে আসে। তাই তাদের প্রতিক্রিয়ায় উত্তেজিত হওয়া একজন খেলোয়াড়ের জন্য কোনোভাবেই ভালো কিছু বয়ে আনে না, বরং ক্ষতি করে।’
গাভাস্কার শুধু কোহলির আচরণই নয়, তার পারফরম্যান্সকেও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন। পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজে ২৩.৭৫ গড়ে মাত্র ১৯০ রান করেছেন কোহলি, যেখানে তার একমাত্র শতক এসেছে পার্থ টেস্টে (১০০ রান)। বাকি আটবার তিনি অফ-স্টাম্পের বাইরে বল তাড়া করতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছেন।
ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার অবস্থা আরও করুণ। তিনি তিনটি টেস্ট খেললেও ব্যাট হাতে ছিলেন একেবারেই ব্যর্থ, ৬ গড়ে মাত্র ৩১ রান করেছেন। সিরিজের প্রথম টেস্টে না থাকলেও শেষ ম্যাচে নিজেই নিজেকে দল থেকে বাদ দেন, যা নিয়ে গাভাস্কার প্রশ্ন তুলেছেন।
গাভাস্কার বলেন, ‘কোহলির অফ-স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা দিয়ে আউট হওয়ার প্রবণতা তার ব্যাটিংয়ে বড় সমস্যা তৈরি করেছে। রোহিত শর্মার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। তিনি নিজের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, কিন্তু এর ফলে তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেছে।’
রোহিতের টেস্ট নেতৃত্ব নিয়ে গাভাস্কারের বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে ভারতীয় বোর্ডের (বিসিসিআই) সামনে এখন নতুন অধিনায়ক খোঁজার প্রয়োজন হতে পারে। তার মতে, এই সিরিজে ভারতের দুই সিনিয়র ব্যাটারই ব্যর্থ হয়েছেন এবং এখন সময় এসেছে দল তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে শুরু করবে।
অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের পারফরম্যান্স হতাশাজনক হলেও গাভাস্কারের মতে, এটি শুধুমাত্র একটি ব্যর্থ সিরিজ নয়, বরং ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যেখানে সিনিয়র খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হতে পারে।