খলিলুর রহমান, বড়লেখা :

ন্যায্যতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী অন্তবর্তীকালীন সরকারের অনুগ্রহ কামনা করেছেন মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককবৃন্দ।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় প্রাথমিক শিক্ষকরা উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে জড়ো হয়ে প্রধান সড়কের পাশে মানববন্ধনে মিলিত হন। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন শিক্ষক জামিল আহমেদ। গীতা পাঠ করেন মিলন কান্তি দাস।

সহকারী শিক্ষক জাহেদ আহমেদর সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক মো.ইমদাদুল হক ইমন এবং ফারুক আহমেদের যৌথ সঞ্চালনায় মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষক তৌফিকুল ইসলাম আবির।

মানববন্ধনে শিক্ষকদের  প্রতি নানা বৈষম্যের কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, মঞ্জু লাল দে, আব্দুল শাকুর খান, কায়েদে আজম, আতাউর শামীম, মীর মুহিবুর রহমান, বদরুল ইসলাম, বদর উদ্দিন, মনির উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, এমরান হোসেন নামুন, লায়েক আহমেদ, মানিক দেব নাথ, সুয়েব আহমেদ চৌধুরী, সায়েরা বেগম, কুলসুমা বেগম, জুবের আহমেদ।

বক্তারা বলেন, ‘দশম গ্রেড আমাদের দাবি নয়, আমাদের অধিকার। যেখানে অন্য সকল ডিপার্টমেন্টে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া হয়, সেখানে মানুষ গড়ার কারিগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তৃতীয় শ্রেণি তথা ১৩তম গ্রেড প্রদান করা হয়। বিশ্বের উন্নত দেশ সমুহে যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বোচ্চ সম্মান ও সম্মানি প্রদান করা হয় সেখানে আমাদের দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদেরকে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি করে রাখা হয়েছে।’

বক্তবারা আরো বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি সরকারের নজর দেয়া প্রয়োজন। তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষক দিয়ে কখনো দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক গড়ে তোলা সম্ভব নয়। শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সহকারী শিক্ষকদেরকে দশম গ্রেড প্রদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজরাতুন নাঈম কর্মস্থলে না থাকায় মানববন্ধন শেষে স্মারকলিপি প্রদান করা সম্ভব হয়নি। তবে আগামীকাল শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলে জানিয়েছে শিক্ষকদের একটি সূত্র।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল