cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা দান হিসেবে পাওয়া গেছে। এছাড়া পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদটির ৯টি দানসিন্দুক খোলার মধ্য দিয়ে টাকা গণনার কাজ শুরু করা হয়। বর্তমানে টাকা গণনা চলছে। টাকা গণনায় পাগলা মসজিদ মাদরাসার ১৩৮ জন ছাত্র এবং রূপালী ব্যাংকের ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে মোট ১৯৮ জন অংশ নেন। তাদের সহায়তা করছেন মসজিদ-মাদরাসার ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এবার চার মাস ১১ দিন পর মসজিদের দানসিন্দুক খোলা হয়। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ৯ই ডিসেম্বর এ মসজিদের দানসিন্দুকগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। পরে টাকা গণনা করে সর্বোচ্চ ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৭টায় ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বিপিএম-সেবা, পিপিএম (বার) এর উপস্থিতিতে পর্যায়ক্রমে মসজিদের ৯টি দান সিন্দুকের সবগুলো খোলা হয়। দানসিন্দুক থেকে টাকা প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর টাকা গণনার জন্য বস্তাগুলো মসজিদের দোতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বস্তা থেকে টাকা মেঝেতে ঢেলে দেয়ার পর শুরু হয় গণনার কাজ।
কথিত রয়েছে যে, এ মসজিদে দান করলে মনের বাসনা পূরণ হয়। মুশকিল আসানসহ মিলে রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি। এই বিশ্বাস থেকে স্থানীয়রা ছাড়াও দূর-দূরান্তের মানুষও পাগলা মসজিদে দান করতে ছুটে যান। তাদের বিপুল দানে মাত্র ৩ মাসেই পূর্ণ হয়ে যায় মসজিদের ৮টি দানসিন্দুকের সবকটি। ফলে কিছুদিন আগে আরেকটি দানসিন্দুক বাড়ানো হয়। পাগলা মসজিদে মানুষ টাকাপয়সা, স্বর্ণালঙ্কার, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ফল-ফলাদি, কোরআন শরিফ ইত্যাদি দান করেন। এর মধ্যে টাকাপয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার মসজিদের দানসিন্দুকগুলোতে জমা পড়ে।
অন্যদিকে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ফল-ফলাদি, কোরআন শরিফ ইত্যাদি নিলামঘরে জমা দিতে হয়। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ দানসিন্দুকে নগদ টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার দান করা ছাড়াও মসজিদের নিলামঘরে নানা ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। অনেকের মানত থাকে, তারা সেসব দিয়ে যান। দিন যত যাচ্ছে পাগলা মসজিদের খ্যাতি ও জৌলুসের পাশাপাশি দানের পরিমাণ ততই যেন বাড়ছে। দান করতে এসে অনেকেই এখানে নামাজ আদায় করেন। বিশেষ করে জুমার দিনে মসজিদটিতে মুসল্লিদের ঢল নামে। এ সময় মূল মসজিদ ছাড়িয়ে সামনের ও আশপাশের খোলা জায়গা, সেতু ও সড়কেও নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে যান মুসল্লিরা। পাগলা মসজিদকে ঘিরে মানুষের এমন আবেগ-ভালোবাসা ছুঁয়ে যায় সকলের হৃদয়।
ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খুলে পাওয়া টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়। এছাড়া স্বর্ণালঙ্কার জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নিলামে বিক্রি করা হয়। সাধারণত তিন মাস পর পর মসজিদের দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়।
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধি যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও। বর্তমানে ৩.৮৮ একর ভূমির উপর সম্প্রসারিত পাগলা মসজিদ এলাকায় মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্বভাবতই ঐতিহাসিক এই মসজিদকে নিয়ে জেলার ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলেই গর্ববোধ করেন।