cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
ঈদ যত ঘনিয়ে আসে জমতে শুরু করে ঈদ বাজার। সাধারণত রোজার প্রথম দশকের পরই তা জমা শুরু করে। তবে এবার দশক পেরিয়ে তেরো রোজায় পড়লেও ঈদ বাজার অনেকটাই নিষ্প্রাণ দেখা গেছে। গতকাল শনিবার ছুটির দিনেও প্রাণহীন ছিলো বিপনী-বিতানগুলো।
কিছু কিছু মার্কেটে আলোকসজ্জা করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখলেও নেই ক্রেতার ভিড়। অন্য সময় ইফতারের পরপরই রাস্তা ও মার্কেটে লোকজনের ভিড় দেখা গেলেও এবার ছিল অনেকটাই ফাঁকা। তবে বিক্রেতারা আশা করছেন মাসের শেষ হওয়ায় অনেকের হাতে টাকা কম। বেতন ভাতা পাওয়ার পর হয়তো ক্রেতার ঈদের বাজারে বের হবেন। সেক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ রোজার পর ব্যবসা জমতে পারে। ঈদ অনুপাতে ব্যবসা জমেনি দর্জি দোকানগুলোতেও।
এদিকে ফুটপাত হকারমুক্ত করায় নগরীর বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্ট থেকে জিন্দাবাজার পর্যন্ত এলাকা অনেকটা ভূতুড়ে রূপ নিয়েছে। অন্যান্যবার ক্রেতা বিক্রেতার হাঁকডাকে দু এক রোজার পরই এ এলাকা গমগম করতো। কিন্তু এবার ভিন্ন চিত্র।
তবে বড় মার্কেটের তুলনায় কিছু কিছু ফ্যাশন হাউসে ক্রেতাদের আনাগোনা দেখা গেছে। নগরীর নয়াসড়কের ফ্যাশন হাউস মাহায় অপেক্ষাকৃত তরুণ-তরুণীদের বেশ ভিড় দেখা যায়। এখানে বাজার করতে আসা অনেকে বলেন দেশি বিদেশি নানান ডিজাইনের পোশাকের জন্য এই ফ্যাশন হাউস তাদের কাছে পছন্দের শীর্ষে। অনেকে সময় শেষের দিকে এলে অনেক এক্সক্লোসিভ কালেকশন বিক্রি হয়ে যায়। তাই তারা আগেবাগে চলে এসেছেন। ঈদের আগে প্রচুর ভিড় ও পছন্দের পোশাক সময় নিয়ে কেনার জন্যই তাদের আগেবাগে আসা।
মাহা ছাড়াও আড়ংসহ আরো কিছু ফ্যাশন হাউসে ফ্যাশন সচেতন তরুণ-তরুণীর উপস্থিতি কিছুটা দেখা গেছে গতকাল। ঈদ বাজারের প্রথম ধাক্কা সমালাতে হয় থান কাপড়, আনরেডি ড্রেস ও দর্জি দোকানিদের। কিন্তু এবার দর্জি দোকানে অন্যবারের মতো চাপ নেই। নগরীর জল্লারপারে ইসরাব ট্রেইলারিংয়ের কর্ণধার ইসরাব আলী বলেন, অন্যান্য বছর আমরা ১০ রোজার পর অর্ডার নেওয়া কমিয়ে দিই আর ১৫ রোজার পর অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিই। কারণ ঈদের পোশাক তৈরির খুব চাপ থাকে। কিন্তু এবার ১৩ রোজা হয়ে গেলেও অন্যবারের অর্ধেকও অর্ডার আসেনি। তিনি বলেন, অনেকে আগে যেখানে চার পাঁচটি ড্রেস বানাতেন এবার একটি অর্ডার দিয়েছেন এতে অর্ডার কমেছে।
শনিবার সন্ধ্যার পর নগরীর জিন্দাবাজারের ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড, মিলেনিয়াম, কাকলী, ব্লু ওয়াটার, সিটি সেন্টার, আলহামরা, শুকরিয়া, প্লাজা, মধুবন, হাসান মার্কেটে ঘুরে দেখা যায় ঈদ কালেকশন নিয়ে দোকান সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে ক্রেতা তেমন নেই। বিক্রেতারা আশা করছেন ১৫ রোজার পর ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে পারে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদ নেতা এবং কাকলী শপিং সিটি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শিপন খান বলেন, অন্যবারের চেয়ে এবার ক্রেতার সংখ্যা কম। মাসের শেষ দিক হওয়ায় অনেকের হাতেই ঈদ বাজেটের টাকা নেই তাই বাজার জমতে আরো সপ্তাহখানেক লাগতে পারে বলে তিনি মনে করেন। শিপন বলেন, এবার পণ্যের দামও অন্যবারের চেয়ে এবার বেশি। আগে যে পণ্য ১০ হাজার টাকায় মিলতো এবার সেই পণ্য ১৫ হাজার টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। টাকার তারতম্যের কারেেণও ক্রেতার সংখ্যা নির্ভর করে।