cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
নানা বিধিনিষেধের পরও নগরীর উন্মুক্ত ছড়াগুলোয় বাসাবাড়ি ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে অবিরত। এতে নোংরা হচ্ছে পরিবেশ, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকাজুড়ে। অন্যদিকে ব্যাহত হচ্ছে পানি প্রবাহ। আর এসব ছড়াগুলো মশা উৎপাদনে কারখানায় পরিণত হচ্ছে।
ছড়ার পারের বাসিন্দারাই এসব আবর্জনা সরাসরি ফেলছেন। বৃষ্টির সময় এসব ছড়া দ্রুত পূর্ণ হয়ে ময়লা আবর্জনায় রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরের আশপাশ নোংরা হয়ে যায়। কোনো কোনো জায়গায় এসব ময়লা জমে মিনি ডাস্টবিনে পরিণত হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এসব নালা ছড়া পরিষ্কার করা হলেও তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, একদিকে পরিষ্কার করা হয় আবার অন্যদিকে লোকজন ময়লা ফেলছেন। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এ থেকে পরিত্রানের সুযোগ নেই। এর বাইরে ডাস্টবিন ও ময়লা বহনের ভ্যান চাহিদা অনুপাতে বাড়াতে এবং লোকজনের মধ্যে তা ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে বলছেন অনেকে।
সিসিক কর্তৃপক্ষ বলছেন, লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পুরো নগরীর আবর্জনা সংগ্রহে ভ্যান ও ডাস্টবিন বৃদ্ধির প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এটা কার্যকর হলে সমস্যা কমে আসবে। তবে নগরের অধিকাংশ এলাকায় ভ্রাম্যমান ডাস্টবিন থাকলেও ১০০/৫০ টাকা বাঁচানোর আশায় অনেকেই ছড়ায় ফেলছেন ময়লা।
নগরীর আশপাশের জালালাবাদ, শিবগঞ্জ, তালতলা, দক্ষিণসুরমাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা যায় উন্মুক্ত ছাড়ায় লোকজনের ফেলা ময়লা আবর্জনার স্তুপ। এসব ময়লায় পানি জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
২৫ নং ওয়ার্ডের রত্নার খালের পার্শ্ববর্তী এক বাসিন্দা বলেন, ছড়াপারের লোকজন সরাসারি ছড়ায় ময়লা ফেলে অভ্যস্ত। তারা কোন বিধিনিষেধই মানছেন না। তাছাড়া আশপাশে ডাস্টবিন নেই তাই দূরে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার চেয়ে ছড়ায় ফেলা সহজ। তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে সিসিক থেকে লোকজন ছড়া পরিষ্কার করে। নিয়মিত পরিষ্কার করলে আবর্জনা জমে থাকতো না।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নগরীর অধিকাংশ নালা বা ড্রেন বক্স কালভার্টে ঢাকা। একসময় লোকজন ড্রেনে দেদারসে বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা ফেললেও এখন সেই সুযোগ সীমিত হয়ে এসেছে। ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সিসিকের ভ্যানে বাসা থেকে ময়লা সংগ্রহের ফলে তা সম্ভব হয়েছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় বড়ো ছড়া এবং নালা উন্মুক্ত। মূলত ছড়াপারের লোকজনই এই আবর্জনা ফেলে থাকেন।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ একলিম আবদীন জানান, আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে সচেতনতার অভাব। এর ফলে অনেক লোকজন বিশেষকরে যারা ছড়ার পারে বসবাস করেন তারা আবর্জনা সরাসরি ছড়ায় ফেলে দেন। এর বাইরে নগর কর্তৃপক্ষে পুরো নগরীকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার সক্ষমতারও সীমাবদ্ধতা আছে। পুরো নগরী এখনও আমার ডাস্টবিন এবং ময়লার ভ্যানের আওতায় আনতে পারিনি। তবে আশার কথা হলো ১ হাজার ডাস্টবিন এবং ৫শ ময়লা বহনের ভ্যানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মাসখানেকের মধ্যেই তা হয়ে যাবে। এটা হলে তখন আমরা বাসাবাড়ির ময়লা বা আবর্জনা দ্রুততার সাথে সংগ্রহ করতে পারবো। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পর আমরা অভিযানে বের হবো। এর আগ পর্যন্ত আমরা যতটুকু সম্ভব ছড়া ও নালা পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করছি এবং জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি।