cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
শীত ও বর্ষা মৌসুমে ডাকাতি বাড়ে সিলেটে। শীতকালে সিলেটের বাইরের ডাকাতরা সদলবলে এসে নগরে অবস্থান নিয়ে ডাকাতি করে বেড়ায়। আর বর্ষা মৌসুমে নৌকাযোগে ডাকাতরা ডাকাতি করে চলে যায়। এবার শীত মৌসুমে দুটি ডাকাতির ঘটনায় উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ক’বছর আগে সিলেটের বালুচর এলাকায় একদল ডাকাত বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করে। এরপর তারা নগরের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি সংঘটিত করে। বিষয়টি জানার পর পুলিশ সক্রিয় হয়ে ওই ডাকাতদের গ্রেফতার করে। এরপর থেকে ৪-৫ বছর স্বস্তি ছিল নগরে। সাম্প্রতিক সময়ে দু’টি ডাকাতির ঘটনা আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে এয়ারপোর্ট এলাকা ও অপরটি নগরের উত্তর বালুচর এলাকায়।
দুটি ঘটনায়ই দুর্ধর্ষ। ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কোনো ডাকাতকে ধরতে পারেনি। পুলিশের ধারণা নগরের বাইরে থেকে এসে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে ডাকাতরা চলে যায়।
শুক্রবার ভোররাতে নগরীর ৩৬ নং ওয়ার্ডের উত্তর বালুচরে লন্ডন প্রবাসী আইয়ূবুর রহমানের আল-ইসলাহ-৯৪ নম্বর বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রবাসী আইয়ূবুর রহমানের ভাতিজা মিজানুর রহমান জানান, তার চাচা দুই মাস আগে স্ত্রীসহ দেশে এসেছিলেন। শুক্রবার তিনি লন্ডন ফিরে যাওয়ার জন্য রাতভর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ভোররাত আনুমানিক ৪টার দিকে বাসার পেছনের গ্রিল ভেঙে মুখোশধারী কয়েকজন ডাকাত বাসায় প্রবেশ করে তাদের বেঁধে ফেলে। ডাকাতরা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় তারা। ধারণা করা হচ্ছে, সবমিলিয়ে প্রায় ৭০ লাখ টাকার মালামাল লুট হয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এর আগে গত ১৭ই জানুয়ারি রাতে নগরের বিমানবন্দর এলাকার ফরিদাবাদ এলাকায় একটি ডুপ্লেক্স বাসার নিচতলার জানালার গ্রিল কেটে ডাকাতি করা হয়েছে। বাসাটি থেকে ১৯ ভরি স্বর্ণ ও ৮ লাখ টাকা লুট করার অভিযোগ করেছেন আতিকুল ইসলামের স্ত্রী রেজিয়া আক্তার জেলি। জেলি জানান, তার স্বামী একটি কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাসার নিচতলার বসার কক্ষের জানালার গ্রিল কেটে মুখোশধারী ৬ জন ডাকাত ঘরে ঢুকে।
প্রথমে নিচতলায় থাকা জেলির শাশুড়িকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার লুট করে ডাকাতরা। পরে উপরের তলায় এসে জেলির শয়নকক্ষে ঢুকে তাকে ও তার দুই ঘুমন্ত শিশুসন্তানকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারিতে থাকা সকল স্বর্ণালঙ্কার এবং ৮ লাখ টাকা লুটে নেয় তারা। ডাকাতি রোধে সিলেট পুলিশের তরফ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাতের বেলা বাড়ানো হয়েছে টহলও। ডাকাতির ঘটনা রুখতে পুলিশ রয়েছে সতর্ক। এদিকে ডাকাত ধরতে সিলেট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন থানায় অভিযান চালিয়ে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল কর্মকর্তা সম্রাট হোসেন। পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে বিশ্বনাথ থানার লামাকাজি এলাকা থেকে ডাকাত বশির উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
সে দুর্লভপুর গ্রামের রুশন আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মারামারি সহ ৭টি মামলা রয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে ওসমানীনগরের বুরুঙ্গা ইউনিয়নের পিয়ারপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফয়ছল মিয়া নামে আরেক ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। ফয়ছল পিয়ারপুরের লালা মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধেও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা চলমান আছে। গ্রেফতার হওয়া ফয়ছল ও বশির আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্যও। একই রাতে ওসমানী নগর থানা পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত ডাকাত সুহেলকে গ্রেফতার করেছে। ডাকাত সুহেল মিয়ার বিরুদ্ধে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এ ছাড়া জকিগঞ্জ থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।