ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ-১ আসনে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনটি দোকান, আটটি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- আহত রুবেল শেখ (৩৫), ফিরোজ শেখ (৬৫), বিপ্লব শেখ (৩০), শামিম শেখ (৩৫), রসুল শেখ (৩০), তানিয়া আক্তার (২২), কাদু শেখসহ (৫০) প্রায় ২০ জনকে মুকসুদপুর ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তিসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের শুয়াশুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোচনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদ মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের শুয়াশুর গ্রামে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কাবির মিয়ার ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

এতে নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও হামলাকারীরা তিনটি দোকান ও আটটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আশরাফুল আলম জানান, নৌকা ও ঈগলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোচনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদ মোল্লাকে থানায় আনা হয়েছে এবং পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল