cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জোটের প্রতিশ্রুত দুই আসনে তরিকত ফেডারেশন ভোট করবে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। তিনি বলেন, জোটের শরিকদের সাতটি আসনে নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এটাই চূড়ান্ত নয়। আমরা জানি, আমরা আছি। তিনি জোটের নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী লীগের উদ্দেশেও বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ওই দুটি আসনই দেন।
শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নজিবুল বশর এসব কথা বলেন। ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৪–দলীয় জোটের জোটবদ্ধ নির্বাচন, সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন ও নির্বাচন–পরবর্তী বিএনপি-জামায়াতসহ বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা’ শিরোনামে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তরীকত ফেডারেশন।
১৪-দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে তিনটি দল আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সাতটি আসনে সমঝোতার আশ্বাস পেয়েছে। এর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) তিনটি করে আসন পাচ্ছে। আর জাতীয় পার্টি (জেপি) পেয়েছে একটি আসন। জোটের অন্যতম শরিক তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর চট্টগ্রাম-২ আসন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
নজিবুল বশর বলেন, জোটের সাতটি আসনের নাম আপাতত প্রকাশ করেছে। এটি চূড়ান্ত নয়। আমরা হতাশ নই। একবারও বলেনি, তরীকত ফেডারেশন নেই। আমরা জানি, আমরা আছি। আমরা দুটি আসন দাবি করেছি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ওই দুটি আসনই আমাদের দেন। সাতটা কৌশলের কারণে দিয়েছেন। আমারটা কেন দেননি, সেটা তারাই বলতে পারবেন।
নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর আসনে তার ভাতিজা ও নতুন নিবন্ধিত দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারীও প্রার্থী হয়েছেন। এ আসনে সাইফুদ্দিন আহমদকে ছাড় দিতে পারে আওয়ামী লীগ। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে নজিবুল বশর বলেন, সুপ্রিম পার্টির বিষয়ে জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু কিছু বলেননি। আওয়ামী লীগের অন্যান্য সূত্র এটি বলতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সবাই তাকে পছন্দ করবেন না বলেও জানান।
সুপ্রিম পার্টিকে ছাড় দেয়া হলে সেটি রাজনীতির জন্য ভয়ংকর বার্তা হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জোটের মনোনয়ন যে কাউকে দিতে পারে, অসুবিধা নেই। রাজনীতির বিবেক কোথায় যাবে? এটি রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত। তিন মাস আগে নিবন্ধন পেয়ে যদি মূল্যায়িত হয়, তাহলে আমাদের মূল্যায়ন কী হবে?
স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রসঙ্গে নজিবুল বশর বলেন, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী তুলতে বলবেন না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখাতে এটি অভিনব কৌশল বলে মনে করেন তিনি। দেশ-বিদেশকে এ কৌশল মাত করেছে বলেও জানান। তবে রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুদের হারানোর জন্য নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থী দেবে না বলে মনে করেন এই নেতা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নজিবুল বশর বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভালো নয়। বিএনপি–জামায়াতসহ একটি বড় অংশ বাইরে। তারা নাশকতাসহ আন্দোলন করে যাচ্ছে। বিদেশি মহল সরব ছিল, এখন চুপচাপ হয়ে গেছে। চুপচাপ থাকা ভালো লক্ষণ নয়। সবকিছু মিলিয়ে মনে করি, জোটের বিকল্প নেই। আদর্শিক জোট ছিল, আছে ও থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন, তা মেনে নেব।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক। সংবাদ সম্মেলনে তরীকত ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী, সৈয়দ আবু দাউদ, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আলী ফারুকী, বাকী বিল্লাহ মিশকাত ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।