cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহাসমাবেশে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেছে নেতা কর্মীরা। নেতা কর্মীদের নানা স্লোগানে এরই মধ্যে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো রংপুর নগরী।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আজ বুধবার রংপুর সফরে আসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেলে রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় যোগ দেবেন তিনি।
তবে মহাসমাবেশ বিকেলে হলেও সকাল থেকেই রংপুর জিলা স্কুলের আশপাশ কানায় কানায় পূর্ণ হতে শুরু করেছে। স্লোগান মুখর রংপুরের অলিগলিতেও গণমানুষের ঢল নেমেছে।
বুধবার (২ আগস্ট) মধ্যরাত থেকেই রংপুর মহানগরীতে গণমানুষের ঢল থেকে ভেসে আসে ‘শেখ হাসিনার আগমন শুভেচ্ছা-স্বাগতম’ স্লোগান। সকাল ৮টা থেকে সভাস্থল নগরীর ঐতিহাসিক রংপুর জিলা স্কুল মাঠে দূর-দূরান্ত থেকে রঙিন টিশার্ট ও ক্যাপ পরিহিত নেতাকর্মীরা ঢাকঢোল পিটিয়ে আসতে শুরু করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। নগরীর বৈদ্যুতিক পিলার, ল্যাম্প পোস্ট, দেয়াল, গাছ কোথাও ফাঁকা নেই। ধুয়ে মুছে চকচকা করা হয়েছে রাস্তাঘাট, রোড ডিভাইডার। চলছে বাদ্যযন্ত্র ও গানের তালে নেচে গেয়ে মাইকিং। জনসভা স্থল ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, জিলা স্কুল মোড়, ডাকঘর মোড়, সুরভি উদ্যান মোড়, পুলিশ লাইন্স মোড়, সিটি বাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে মাইক সাটানো হয়েছে। একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতারা আসছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে রংপুর মহানগরী। রংপুর মহানগরীর ২১টি পয়েন্টে করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রবেশ রুট গুলোতে সন্দেহভাজন যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে জনসভায় আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে চায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। জিলা স্কুল মাঠে এসএসএফসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন সর্বোচ্চ সতর্কতায়। মাঠের দক্ষিণ পশ্চিম কোণায় নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে সভামঞ্চ। পাশেই মিডিয়া, মুক্তিযোদ্ধা ও অতিথি কর্নার। সামনে থাকবে জনতা। প্রস্তুতির কাজ তদারকি করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
জিলা স্কুল মাঠের জনসভায় থেকেই নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমনটা জানিয়েছেন নেতারা।
রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক উপকমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। পাড়া-মহল্লায় উঠান বৈঠক থেকে শুরু করে সভা সমাবেশ করা হয়েছে। গ্রামেগঞ্জে শহরে বন্দরে খণ্ড খণ্ড মিছিল করা হয়েছে। পুরো বিভাগজুড়ে ব্যাপক গণসংযোগ চালানো হয়েছে। বিগত সময়ের উন্নয়নগুলো তুলে ধরা হচ্ছে। মানুষ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত। তারা জনসভায় যোগ দিতে অপেক্ষা করছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, জনসভাকে ঘিরে সব ধরণের নিরাপত্বার বন্দোবস্ত করেছি আমরা। পুলিশের পাশাপাশি আর্মডসহ সাদা পোশাকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য থাকবে। জনসভাস্থল ছাড়াও থাকবে পথে পথে রুট ডিউটি, থাকবে চেকপোস্ট, পুরো নগরীর গুরুত্বপূর্ন প্রবেশ পথ ও মোড়ে মোড়ে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। উঁচু ভবনের ছাদে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর প্রতি ফ্লোরে ফ্লোরে থাকবে প্রশিক্ষিত আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
রংপুর জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর জেলা সফর করবেন। তিনি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিশাল জনসভা থেকে প্রায় ১২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে ১৭ তলাবিশিষ্ট ক্যানাসার হাসপাতাল নির্মাণ, র্যাব-১৩ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি অবকাঠামো।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এ সময় তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেন। সাড়ে ৪ বছরের বেশি সময় পর তিনি আবার রংপুরে আসছেন।