cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা আর মাইকিংয়ে এখন সরগম সিলেট নগরী। কে হচ্ছেন আগামী দিনের নগরপিতা আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী না জাপা প্রার্থী শিল্পপতি নজরুল ইসলাম বাবুল। এমন আলোচনা চায়ের টঙ দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র। এছাড়া আলোচনায় রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হাসানও।
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে শুক্রবার (২ জুন) মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। প্রতীক পাওয়ার পর শনিবার (৩ জুন) থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থী-সমর্থকরা। নগরজুড়ে সাটানো হচ্ছে ব্যানার ও ফেস্টুন। চলছে মাইকিংও। মিছিলে মিছিলে সরগরম হয়ে উঠেছে পুরো সিলেট নগরী।
মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শিল্পপতি নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা), জাকের পার্টির জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ (ঘোড়া), মো. শাহ জাহান মিয়া (বাস গাড়ি) এবং মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট) প্রতীকের পক্ষে শনিবার দিনব্যাপী গণসংযোগ ও প্রচারণা চালিয়েছেন।
মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে প্রচারণায় আনোয়ারুজ্জামান
সিলেটে হজরত শাহজালালের (রহ.) ও শাহপরাণ (রহ.) মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) মেয়রপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
শনিবার (৩ জুন) দুপুরে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন তিনি। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে মোনাজাত করেন। পরে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে দরগাহ গেট এলাকায় নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন। এর কিছুপর হজরত শাহপরান (রহ.) মাজার জিয়ারত এবং সেখানেও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন।
এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) আহমদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান সঙ্গে ছিলেন।
জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও সিলেট মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক, বিশিষ্ট শিল্পপতি নজরুল ইসলাম বাবুল শনিবার দিনব্যাপী নগরের লালবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।
এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন জায়গায় জাপার নেতাকর্মীদের উপর সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালাচ্ছে, পোস্টার ছেঁড়া হচ্ছে। আমি এর প্রতিকার চাই। নির্বাচন কমিশন অফিসে সরকারদলীয় প্রার্থীর অব্যাহত আচরণবিধি লঙ্গনের অভিযোগ জানানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। যদি কোনো ষড়যন্ত্র না হয় তবে ২১ জুনের নির্বাচনে লাঙ্গলের বিজয় সুনিশ্চিত।
তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে সরকারের উচিৎ দ্রব্যমূল্যের দাম সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা।
বাবুল বলেন, আমি সিলেটকে মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে একটি নান্দনিক নগরে রূপান্তরিত করতে চাই। আমার বিশ্বাস সিলেটের মানুষ ২১ জুনে তাদের মূল্যবান রায় দিয়ে আমাকে নগরবাসীর খেদমত করার সুযোগ দেবেন।
গণসংযোগকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা শাখার সদস্য সচিব সাইফুদ্দিন খালেদ, মহানগর শাখার সদস্য সচিব আব্দুস শহিদ লস্কর বশিরসহ জাতীয় পার্টির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মাওলানা মাহমুদুল হাসানের গণসংযোগ:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান শনিবার নগরীর ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ সুরমা এলাকায় গণসংযোগ করেন।
এসময় তিনি বলেন, সিলেট শহরকে সুন্দর করে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আপনাদের ভোট, দোয়া ও সহযোগিতায় নির্বাচিত হলে সিলেটকে উন্নত বিশ্বের আদলে একটি পরিপূর্ণ আধুনিক উন্নত নগর হিসেবে গড়ে তুলবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা সহসভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আমীর উদ্দীন, ছাত্রআন্দোলন সিলেট জেলা সভাপতি আরিফুল ইসলাম শামীম, বিশ্বনাথ উপজেলা সেক্রেটারি মাশুকুর রহমান শিকদার, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মিছবাহ উদ্দিন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুল বাসিত প্রমুখ।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সিলেট মহানগরে মোট সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৪২। আর সংরক্ষিত আসনে আরও ১৪ সহ মোট ৫৬টি কাউন্সিলর পদে ভোট হবে। এছাড়া মেয়র পদে চারজন দলীয়সহ মোট সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
Leave a Reply