cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় আফরোজা আলম (৩৭) নামে এক স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী রবিউল ইসলাম রবিকে (৪২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
নিহত শিক্ষিকা আলফাডাঙ্গা উপজেলার উত্তর মালা গ্রামের মৃত শামসুল আলমের মেয়ে। তিনি শিয়ালদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। রবিউল ইসলাম রবি আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিয়ালদী গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে রবিউল ইসলামের সঙ্গে নিহত আফরোজা আলমের বিয়ে হয়। তাদের ১২ বছর বয়সী বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী আদনান ইসলাম নামে এক ছেলে আছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ২০২০ সালের জুলাই মাসে শিয়ালদী গ্রামে রবিউলের বাড়ি ছেড়ে গড়ানিয়া গ্রামের কাজী ফারুক নামে এক ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন নিহত আফরোজা আলম।
সেই বাড়িতে ওই বছরের ৩ আগস্ট শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যা করেন স্বামী রবিউল। হত্যার পর স্থানীয়দের জানান, তার স্ত্রী স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন।
জানা যায়, এ ঘটনায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়। পরে ঢাকায় সিআইডির ল্যাবে একটি পরীক্ষার (ভিসেরা) মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয় তার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের কেউ বাদী না হওয়ায় আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ১২ সেপ্টেম্বর রবিউলকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ফয়সাল আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর দীর্ঘ প্রায় তিন বছরের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এ রায় প্রদান করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এবং আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ওই আদালতের পিপি সানোয়ার হোসেন বলেন, এই রায়ের ফলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে এবং সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।