cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে বন্ধ রয়েছে করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রম। গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) থেকে পরবর্তী নিদের্শনা না আসা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনা টিকা প্রয়োগ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে বিভাগে ইতোমধ্যে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ ডোজ মিলে ভ্যাকসিন প্রয়োগ হয়েছে মোট ২ কোটি ৩৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৯৫ ডোজ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যমতে- এখন পর্যন্ত (১৫ ফেব্রুয়ারী) বিভাগে ৫ বছর শিশু থেকে শুরু করে তদুর্ধ্ব বয়সের জনসংখ্যার মধ্যে ১ম ডোজ নিয়েছেন ৯৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪০৩ জন, ২য় ডোজ নিয়েছেন ৯২ লক্ষ ৬৯ হাজার ১০৬ জন, ৩য় ডোজ নিয়েছেন ৪৩ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৭৩ জন। ৪র্থ ডোজ নিয়েছেন ৭৫ হাজার ২১৩ জন।
সিলেটের মোট ভ্যাকসিন পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১ম, ২য় ডোজ প্রয়োগে শীর্ষে আছে সিলেট মহানগর, ৩য় ডোজে শীর্ষে হবিগঞ্জ ও ৪র্থ ডোজে শীর্ষে মৌলভীবাজার। ১ম ও ২য় ডোজে বিভাগে সব থেকে পিছিয়ে আছে সুনামগঞ্জ। ৩য় ডোজে সিলেট মহানগর ও জেলা থেকে এগিয়ে থাকলেও হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার থেকে পিছিয়ে আছে সুনামগঞ্জ। ৪র্থ ডোজে শীর্ষে মৌলভীবাজার, ২য় অবস্থানে সিলেট, ৩য় স্থানে সিলেট মহানগর, ৪র্থ স্থানে সুনামগঞ্জ ও ৫ম স্থানে আছে হবিগঞ্জ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ১ম ডোজ নিয়েছেন ৮৫.৪০ শতাংশ অর্থাৎ ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪০৩ জন। এরমধ্যে মহানগর এলাকায় ১ম ডোজ প্রয়োগ ১০৬.১৭ শতাংশ অর্থাৎ ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৬ জন, এরপর মৌলভীবাজার জেলায় ১ম ডোজ নেন ৯০.৫৩ শতাংশ অর্থাৎ ২০ লাখ ৫৩ হাজার ৪৩ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ১ম ডোজ নেন ৮৬.৪৭ শতাংশ অর্থাৎ ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৮৫২ জন, সিলেট জেলায় ১ম ডোজ নেন ৮৫.৪২ শতাংশ অর্থাৎ ৩৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯৭৫ জন, সুনামগঞ্জ জেলায় ১ম ডোজ নিয়েছেন ৮০.৪৬ শতাংশ অর্থাৎ ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩৩ জন।
সিলেট বিভাগে ১৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ২য় ডোজ নিয়েছেন ৭৯.১৬ শতাংশ অর্থাৎ ৯২ লাখ ৬৯ হাজার ১০৬ জন। এরমধ্যে সিলেট মহানগর এলাকায় ২য় ডোজ নিয়েছেন ৯৪.৬৫ শতাংশ অর্থাৎ ৬ লাখ ১৪ হাজার ১২ জন, মৌলভীবাজার জেলায় ২য় ডোজ নিয়েছেন ৮৪.৫৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৩৯১ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ২য় ডোজ নেন ৮০.২০ শতাংশ অর্থাৎ ১৯ লাখ ৮০ হাজার ৮২ জন, সিলেট জেলায় ২য় ডোজ নেন ৭৯.৬৬ শতাংশ অর্থাৎ ৩২ লাখ ৩১ হাজার ৪৬২ জন, সুনামগঞ্জ জেলায় ২য় ডোজ নেন ৭৩.৩৯ শতাংশ অর্থাৎ ২১ লাখ ৪০ হাজার ১৭১ জন।
বিভাগে ৩য় ডোজ নিয়েছেন (১৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত) মোট ৩৭.৩৪ শতাংশ অর্থাৎ ৪৩ লাখ ৭১ হাজার ৭৭৩ জন। এর মধ্যে হবিগঞ্জ জেলায় ৩য় ডোজ নেন সর্বোচ্চ ৪৫.১৯ শতাংশ অর্থাৎ ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬১২ জন, এরপর মৌলভীবাজার জেলায় ৩য় ডোজ নেন ৪২.০৮ শতাংশ অর্থাৎ ৯ লাখ ৫৪ হাজার ২৪৮ জন, সুনামগঞ্জ জেলায় ৩য় ডোজ নেন ৩৭.৬১ শতাংশ অর্থাৎ ১০ লাখ ৯৬ হাজার ৭০৪ জন, সিলেট মহানগর এলাকায় ৩য় ডোজ নেন ৩৭.৫৩ শতাংশ অর্থাৎ ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮৩ জন ও সিলেট জেলায় ৩য় ডোজ নেন ২৯.৭১ শতাংশ অর্থাৎ ১২ লাখ ৫ হাজার ২০৯ জন।
সিলেট বিভাগে ৪র্থ ডোজ নিয়েছেন মোট ০.৬৪ শতাংশ অর্থাৎ ৭৫ হাজার ২১৩ জন। এরমধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় ৪র্থ ডোজ নেন ০.৭৮ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ হাজার ৭৮৮ জন, সিলেট জেলায় ৪র্থ ডোজ নেন ০.৭০ শতাংশ অর্থাৎ ২৮ হাজার ৩৬৮ জন, সিলেট মহানগর এলাকায় ৪র্থ ডোজ নেন ০.৫৯ শতাংশ অর্থাৎ ৩ হাজার ৮৫০ জন, সুনামগঞ্জে ৪র্থ ডোজ নেন ০.৫৬ শতাংশ অর্থাৎ ১৬ হাজার ২৮৩ জন, হবিগঞ্জে ৪র্থ ডোজ নেন ০.৫২ শতাংশ অর্থাৎ ১২ হাজার ৭৭৪ জন।
জানা গেছে, ১ম ও ২য় ডোজের টিকাগ্রহণে এগিয়ে থাকলেও ৩য় ও ৪র্থ ডোজের টিকাগ্রহণে পিছিয়ে আছে সিলেট। এজন্য সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মডার্না ও ফাইজারের টিকা চালু এবং মানুষের মধ্যে থেকে করোনভীতি কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
এব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, ১ম ও ২য় ডোজ গ্রহণে এগিয়ে থেকে ৩য় ও ৪র্থ ডোজে নগর এলাকা পিছিয়ে থাকার সুনির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে। আগে নগর এলাকায় মডার্না ও ফাইজারের টিকা পাওয়া যেতো তাই ১ম ও ২য় ডোজের জন্য নগরীতে বিভিন্ন জেলার মানুষ ভীড় করেন। কিন্তু ৩য় ডোজের টিকা হিসেবে ফাইজার ও মডার্না সব জায়গায় দেয়ার কারণে নগরে ভ্যাকসিনের চাপ কমেছে। এছাড়া মানুষের মাঝ থেকে করোনীভীতি অনেকটা কমে গেছে তাই শেষের দিকে করোনা টিকা নিতে মানুষের আগ্রহের ঘাটতি দেখা দেয়।
তিনি জানান, ৪র্থ ডোজ গ্রহণে আমরা প্রচারণা চালিয়েছি, এসএমএস করেছি। কিন্তু তেমন সাড়া পাইনি। এছাড়া ৪র্থ ডোজ হিসেবে আমরা ফাইজারের যে টিকা প্রয়োগ করেছি এর গায়ে মেয়াদ নভেম্বর ২২ লেখা ছিল। যদিও পরবর্তীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে চিঠির মাধ্যমে এই টিকা ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত প্রয়োগ করা যাবে বলে নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু সিলেটের সচেতন মহল ও শিক্ষিত শ্রেণী এই টিকা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন। ফলে ৪র্থ ডোজ গ্রহণের সংখ্যা আমাদের জন্য হতাশাজনক। তবে আমাদের টিকা কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রয়েছে। মাস খানেকের আগে টিকা কার্যক্রম চালুর সম্ভাবনা নেই।
Leave a Reply