cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় আওয়ামী লীগ নেতাদের তোড়জোর ততই বাড়ছে। মাঠের বিরোধী দল সিসিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না–তা এক প্রকার নিশ্চিত ধরে নিয়েই মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের জন্য মরিয়া হয়েছেন দলের অন্তত অর্ধডজন প্রার্থী। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই প্রার্থিতা ঘোষণা করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন; কিন্তু তাতে উত্তাপ ছড়িয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা।
সিসিকের সর্বশেষ নির্বাচন ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী। ৮ অক্টোবর তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী মেয়াদ পূর্তির ১৮০ দিনের
মধ্যে নির্বাচন হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ হিসাবে আগামী এপ্রিলের পর যে কোনো সময় সিসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২০০২ সালে সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর সিলেটে এ পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। প্রতিটিতে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে আসছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কামরান। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি দলের মনোনয়ন পান। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ১৫ জুন মারা যান তিনি। এরপর থেকেই মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে কয়েকজন প্রচার চালিয়ে আসছিলেন। এই প্রচার-প্রচারণায় হঠাৎ করেই উত্তাপ ছড়িয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র কামরানের ছেলে আরমান আহমদ শিপলু নিয়মিত বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশে অংশ নিয়ে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিসিক নির্বাচনে প্রার্থী হতে সবুজ সংকেত পেয়ে প্রচারে নেমেছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেছেন। নির্বাচনে অংশ নিতে সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলে তার সমর্থকরা প্রচার করছেন।
আওয়ামী লীগ নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতির মুক্তি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই যুক্তরাজ্য প্রবাসী আনোয়ারুজ্জামান। যুক্তরাজ্য যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ সংগঠিত করতে তার ভূমিকা অপরিসীম হওয়ায় ক্ষমতাসীন দলটি তাকেই প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেবে বলে এক প্রকার নিশ্চিত করেছে। সেজন্য প্রচার-প্রচারণা চালাতে সবুজ সংকেতও দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আনোয়ারুজ্জামানের ঘনিষ্ঠরা।
মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আনোয়ারুজ্জামান এতদিন সিলেট-২ আসনে মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালালেও গত ২২ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে হঠাৎ করেই সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় চলে আসেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, দেশে ফিরেই ২৬ জানুয়ারি সংসদ ভবন কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আনোয়ারুজ্জামান। সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী তাকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ঘনিষ্ঠরা।
এর আগে সাবেক সংসদ সদস্য ও সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হওয়া সিলেটের প্রবীণ নেত্রী সৈয়দা জেবুন্নেছা হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গেলে সিসিক নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আনোয়ারুজ্জামানের নাম বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে জানান। এরপর থেকেই মেয়র পদে আলোচনায় উঠে আসে আনোয়ারুজ্জামানের নাম।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, সিটি নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে আনোয়ারুজ্জামানকে বিবেচনা করার কথা আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দলের মনোনয়ন বোর্ড।
জানা গেছে, আনোয়ারুজ্জমান দীর্ঘদিন থেকেই যুক্তরাজ্য প্রবাসী। দেশে থাকার সময় থেকেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। কলেজ জীবনে তিনি তৎকালীন বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন। এরপর যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। সেখানে গিয়েও আনোয়ারুজ্জামান থেমে থাকেননি। জড়িয়ে পড়েন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে। যুবলীগকে সংগঠিত করতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্র জানায়, বিগত ওয়ান-ইলেভেনে সেনাসমর্থিত সরকারের সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আনোয়ারুজ্জামান শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য জনমত গঠনে ভূমিকা রাখেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার সম্পর্কের সুবাদে তিনি যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের নির্বাচনেও ভূমিকা রাখেন।
চলতি বছরের সিসিক নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। গত দুই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় এবার আওয়ামী লীগ এই পদে দলীয় প্রার্থীর মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করার ইঙ্গিত দিয়েছে।
মূল প্রতিবেদন : দৈনিক কালবেলা
Leave a Reply