cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বড়লেখা প্রতিনিধি:
‘আমি অন্ধগো মানুষ, দেখার শক্তি নাই, সবাইরে দিছে চক্ষু, আমায় দেয় নাই দয়াল’-এভাবে প্লাস্টিকের বড় বোতলের তৈরী যন্ত্রের সুরঝরনায় নিজের লেখা গানে চোখ না থাকার কষ্টের কথা ফুটিয়ে তুলেছেন জন্মান্ধ নিরঞ্জন।
নিরঞ্জন ব্যানার্জী (২২)। জন্ম থেকেই তার দুটি চোখে আলো নেই। তবে স্রষ্টা যেন তার কণ্ঠে সব সুর ঢেলে দিয়েছেন। তাইতো মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক ও জলপ্রপাতে আগত পর্যটকসহ স্থানীয় লোকজনকে তিনি গান শুনিয়েই মুগ্ধ করেন। আর এভাবে গান গেয়েই চলছে তার জীবন-জীবিকা।
নিরঞ্জন মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পাথারিয়া চা বাগানের (মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত সংলগ্ন) চা শ্রমিক মেঘনাথ ব্যানার্জীর ছেলে।
শনিবার ছুটির দিনে মাধবকুণ্ডে পেয়ে কথা হয় নিরঞ্জন ব্যানার্জীর সঙ্গে। আলাপকালে তিনি বলেন, আমি জন্ম থেকেই অন্ধ। বাবা-মা চা শ্রমিক। তারা আমাকে কষ্ট করে বড় করেছেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে আমি সবার বড়। আমার ছোট বোনের বিয়ে হয়েছে। বাকি ভাই-বোনেরা লেখাপড়া করছে। নিজের লেখাপড়ার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু চোখে দেখি না। তাই আর লেখাপড়া করতে পারেনি। কাম-কাজও পারিনা। একটু গান গাইতে পারি। ২০১০ সাল থেকে গান গেয়ে আয়-রোজগার করছি। তাই বাবা আমাকে প্রায়ই সকালে মাধবকুণ্ডে দিয়ে যান। বিকেলে আবার এসে নিয়েও যান। মাধবকুণ্ডে ঘুরতে আসা পর্যটকদের গান গেয়ে শুনাই। নিজের লেখা একটি গানের পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্পীদের গান গেয়ে শুনাই মানুষকে। গান শুনে তারা খুশি হয়ে যা টাকা দেন, তাতে কোনোমতে চলে। কোন কোন দিন ১৫০-২০০ টাকা আয় হয়। মানুষ বেশি থাকলে কখনো ৩০০-৪০০ টাকাও আয় হয়। সব টাকা বাবার হাতে তুলে দিই।
নিরঞ্জন বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধি হিসেবে সরকার ভাতা দিচ্ছে। একটা ঘরও পেয়েছি। জীবনে কোনো স্বপ্ন আছে কিনা জানতে চাইলে নিরঞ্জন বলেন, বড় কোনো স্বপ্ন নেই। আপনারা আমার গান শুনে যে টাকা দেন তাও তো অনেক বেশি পাওয়া।