cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
জ্ঞানের আলো মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারে একমাত্র বই। বিনোদন থেকে শিক্ষা, অবসর যাপন থেকে নিঃসঙ্গতা দূর, সবেতেই বই শ্রেষ্ঠ অবলম্বন হতে পারে। বই ভালোবাসে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
‘মদ রুটি ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে— বই, সে তো অনন্ত যৌবনা’ -ওমর খৈয়ামের এই বিখ্যাত উক্তির প্রতিফলন ঘটিয়েছেন মিথুন-অন্তরা নবদম্পতি। তারা বিয়েতে দেনমোহর হিসেবে বইকে বেছে নিয়েছেন। কনে সুমাইয়া পারভীন অন্তরার বইয়ের প্রতি রয়েছে অগাধ ভালবাসা। সেই ভালবাসা থেকে তার ইচ্ছে অনুযায়ী টাকা, স্বর্ণ-অলংকার, গহনার পরিবর্তে বেছে নিয়েছেন ১০১টি বই।
অন্তরা কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগগেরসাবেক শিক্ষার্থী। ব্যতিক্রমী ইচ্ছে থেকে ১০১টি বই দেনমোহরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন অন্তরা। ঘর বেঁধেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রুহুল মিথুনের সঙ্গে। মিথুন বর্তমানে একটি সরকারি ব্যাংকে কর্মরত। বর-কনে উভয়ের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলায়।
গত শনিবার (২৯ অক্টোবর) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। ব্যতিক্রমী এই দেনমোহরের চাহিদা অবাক করেছে বরপক্ষসহ সবাইকে। কনের ইচ্ছেতেই ১০১টি বই হস্তান্তরের মধ্যদিয়ে বিবাহ সম্পন্ন হয়। ভিন্নধর্মী এই দেনমোহর পরিশোধ করে বিয়ে হওয়ায় সন্তুষ্টির কথা জানান বর-কনে দুজনই।
দেনমোহর হিসেবে বই নিয়ে সুমাইয়া পারভীন অন্তরা বলেন, আমরা দেখে থাকি সমাজে বিয়ের দেনমোহর নিয়ে অনেক দর কষাকষি হয় এবং অনেক উচ্চহারে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সেই দেনমোহরের অধিকাংশই অপরিশোধিত থাকে। আমি মনে করি, এমন উচ্চ দেনমোহরে কাউকে বেঁধে রেখে সংসার করা যায় না, যে আমাকে ভালোবাসে সে এমনিতেই আমার সঙ্গে থাকবে। এ ছাড়া আমার স্বামীর কাধে দেনমোহরের এই ঋণের বোঝা থাকুক এটাও আমি চাইনি।
এজন্যই এই ছাত্রজীবনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি দেনমোহর হিসেবে বই নেয়ার। আমি আমার ইচ্ছের কথা বাবা-মাকে জানালে তারা প্রথমে অবাক হলেও আমার চিন্তার প্রশংসা করেন। আমার বাবা তখনই বইয়ের নাম সংগ্রহ করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই থেকে আমি পছন্দের ১০১টি বইয়ের নাম সংগ্রহ শুরু করি।
অন্তরা আরো বলেন, পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের আগেই আমার স্বামীকে দেনমোহর নিয়ে আমার চিন্তার কথা জানাই। তিনি শুনে প্রথমে অবাক হলেও আমার ইচ্ছে পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন। এবং আমার প্রত্যাশা অনুযায়ী ১০১টি বই নগদ হস্তান্তর করেছেন।
স্ত্রীর এমন ব্যতিক্রমী ভাবনা নিয়ে রুহুল মিথুন বলেন, দুই পরিবারের মধ্যে বিয়ের কথা পাকাপাকি হলে, আমার শ্বশুর তার মেয়ের ইচ্ছের কথা জানান। এতে সবাই অবাক হন, পরে আমার পরিবার এই সিদ্ধান্তে মত প্রকাশ করেন। তারা ১০১টি বইয়ের লিস্ট দেন। লিস্ট ধরে বইগুলো খুঁজে পেতে কিছুটা কষ্ট করতে হয়েছে তবে বিষয়টিকে খুবই উপভোগ করেছি। বিয়ের আসরেই দেনমোহর পরিশোধ করি এবং আমরা দুজনেই বিষয়টি নিয়ে খুবই খুশি। বিয়ের পড়ানোর সময় কাজী প্রথমে এমন দেনমোহরে কিছুটা আপত্তি জানান, তবে সবাই মিলে তাকে বোঝানোর পর বই দেনমোহর হিসেবে রেখেই বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বর্তমান এই ডিজিটাল সময়ে মিথুন-অন্তরার এই ব্যতিক্রমী মোহরানার বিয়ে যুবসমাজকে কাগজের বইপড়া ও সংগ্রহের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।