cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্টাফ রিপোর্টার ::
কোনো প্রকার চাপের মুখে সিলেটের বন্ধ থাকা পাথরকোয়ারিগুলো আবার চালু করা উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সিলেটের বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ সাহেদা। প্রকৃতি, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সিলেটের পাথরকোয়ারিগুলো থেকে বাণিজ্যিকভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখা উচিত বলেও তিনি মনে করেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটায় বেলা সিলেটের উদ্যোগে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় শাহ সাহেদা এসব কথা বলেন। নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত উক্ত মতবিনিময় সভায় কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের ক্ষতিকর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সিলেটের আটটি স্থানে অবস্থিত পাথরকোয়ারি গুলো প্রাকৃতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে শাহ সাহেদা তার উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে আরো বলেন, দীর্ঘদিন পাথর উত্তোলন ও স্টোন ক্রাশিং মেশিনের মাধ্যমে পাথর ভাঙার ফলে এসব এলাকার জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে নদীভাঙন, পানিদূষণ, শব্দদূষণ। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট, বাড়িঘরও । অনিয়ন্ত্রিতভাবে পাথর উত্তোলনের কারণে সিলেটের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও ভূমির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
এছাড়াও কোয়ারিগুলোতে প্রাণহানির মতো বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সাহেদা জানান, গত ১৬/১৭ বছরে পাথর উত্তোলনকালে ১০৬ শ্রমিক নিহত হয়েছেন ।
পাথর কোয়ারী খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটে ডাকা ৪৮ ঘন্টার পণ্য পরিবহন ধর্মঘটকে দুঃখজনক উল্লেখ করে শাহ সাহেদা বলেন, পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো হচ্ছে।
বাণিজ্যিকভাবে ইজারা না দিয়ে সরকার নিজ দায়িত্বে নদী খনন এবং বালু ও পাথর অপসারণ করতে পারে বলে মনে করেন পরিবেশ আন্দোলনের এই নেত্রী।
এ ক্ষেত্রে তিনি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটির মাধ্যমে সিলেটের আটটি পাথরকোয়ারিসহ সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাথর উত্তোলনের কারণে কী কী ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণের দাবি জানান।
মতবিনিময় সভায় সিলেটের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।