cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের পর থেকে সিলেটে বেড়েছে লোডশেডিং। দিনে একাধিকবার বিদ্যুৎ চলে যায়। কখনো কখনো ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা পর আসে। বিভাগীয় শহর সিলেটে দিনরাত মিলিয়ে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। আর শহরের বাইরের পরিস্থিতি আরো খারাপ। গ্রামঞ্চলে কোনো কোনো এলাকায় ১০ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
লোডশেডিং বাড়ার কথা স্বীকার করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারাও। তাদের দাবি, জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর থেকেই লোডশেডিং বেড়েছে। বিপর্যয়ের পর ধাপে ধাপে বন্ধ বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা হলেও এখনো কয়েকটি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া যান্ত্রিক ক্রটির কারণে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেটের কুমারগাওয়ের ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা যায়নি। গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিলে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে জানিয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েকদিনের ব্যবধানে সিলেটে লোডশেডিং প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ৩টায় সিলেট জোনের ৮টি গ্রিডে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৪৮২.৬ মেগাওয়াট। তবে সরবরাহ ছিল ৩২০.৭ মেগাওয়াট। এ হিসেবে ঘাটতি ছিল ১৬৩.৯ মেগাওয়াট। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় পল্লী বিদ্যুতের সিলেট অঞ্চলে ১৮০ মেগাওয়াট চাহিদার বদলে সরবরাহ ছিল ১১৮ মেগাওয়াট। এই হিসেবে ৯০ মেগাওয়াট ঘাটতি ছিল। পল্লী বিদ্যুতে ঘাটতি বেশি থাকায় শহরের চাইতে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে বেশি।
গত চার-পাঁচদিন লোডশেডিংয়ের কারণে দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ অফিস-আদালতে কাজের স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। গরমে মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে বারবার লোডশেডিংয়ে পড়ার অভিযোগ আসছে। এর মধ্যে নগরের যতরপুরের বাসিন্দা জাবুর আহমদ বলেন, মঙ্গলবার (গ্রিড বিপর্যয়ের দিন) টানা ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। এরপর দিন-রাত মিলে চার থেকে পাঁচবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। প্রতিবারই এক থেকে দেড় ঘণ্টা করে লোডশেডিং থাকছে। প্রায় একই অভিযোগ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর এলাকার বাসিন্দা সৌরভ চাকলাদার বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে দিনে ৮-৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। কিছুক্ষণ পরপর বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। রাতে লোডশেডিং হচ্ছে বেশি। শুক্রবারও ছিল একই অবস্থা।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, গ্রিড লাইনে বিপর্যয়ের পর থেকে বিদ্যুতের ঘাটতি বেড়েছে। আগে যেখানে দিনে ঘাটতি ছিল ২০ শতাংশ এখন তা ৪৫ শতাংশের মতো হয়ে গেছে। ঘাটতির কারণ সম্পর্কে আমাদের জানানো হয়নি। তবে যতদূর জানতে পেরেছি, গ্রিড বিপর্যয়ে বন্ধ হওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবগুলো এখনও চালু হতে পারেনি। সিলেটের কুমারগাওয়ের ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রও এখনও বন্ধ আছে। এছাড়া গ্যাসের চাপও অনেক কমে গেছে। এসব কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যেতে পারে।