সর্বশেষ আপডেট : ১৫ ঘন্টা আগে
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

৮ মাসেও পূরণ হয়নি শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপচার্যবিরোধী আন্দোলনের আট মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ দাবি।

উপাচার্য বদলের ব্যাপারে সরকারের উচ্চপর্যায়ের আশ্বাস সত্ত্বেও স্বপদে আছেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলাও প্রত্যাহার হয়নি এখন পর্যন্ত। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পুলিশের স্প্লিন্টারে আহত শিক্ষার্থী সজল কুণ্ডুর চিকিৎসা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এসব নিয়ে ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে ফের আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তারা। আন্দোলনের আট মাস পূর্তিতে রোববার দুপুরে ক্যাম্পাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন হুমকি দেন শিক্ষার্থীরা।

শাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

এক হল প্রাধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আন্দোলনে নামেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে ১৬ জানুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদকে আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে উপাচার্যকে মুক্ত করে আনে। এ সময় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, পুলিশসহ অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী।

১৬ জানুয়ারি রাতেই সিন্ডিকেট সভা ডেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন উপাচার্য। পরদিন দুপুরের মধ্যে হল ছাড়তেও শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে এই নির্দেশনা অমান্য করে ওই রাত থেকেই উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে টানা আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৯ জানুয়ারি বিকেল থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী। পরে আরও পাঁচ শিক্ষার্থী অনশনে বসেন। এর মধ্যে একদিন উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগও বন্ধ করে দেন তারা।

২৬ জানুয়ারি ভোররাতে ক্যাম্পাসে আসেন জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ড. ইয়াসমীন হক। তারা দুজনই শাবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হবে, তারা দুজন এমন আশ্বাস দিলে ১৬৩ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙেন ২৮ শিক্ষার্থী। তবে আন্দোলন চালিয়ে যান তারা।

যেসব দাবি ছিল শিক্ষার্থীদের

শাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ ফেব্রুয়ারি সিলেটে এসে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচটি দাবি এবং আট দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন।

তাদের দাবিগুলো ছিল: উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগসহ ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ ও প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণ, ক্যাম্পাসের সব আবাসিক হল সচল রাখার বিষয়ে উদ্যোগ, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সাহায্য দেয়া পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থীর জামিন ও অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং অনশনরত শিক্ষার্থী ও উপাচার্যের নির্দেশে পুলিশের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ভার বহন।

সেদিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সব দাবি মেনে নেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন এবং উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। এই আশ্বাসের পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

৮ মাসেও পূরণ হয়নি দাবি

আট মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রধান দাবিসহ বেশির ভাগ দাবিই পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার ক্যাম্পাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ক্যাম্পাসে এসে আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন তার এখতিয়ারভুক্ত দাবি ও প্রস্তাবনাসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। তার এখতিয়ারভুক্ত নয় এমন দাবিগুলোর বিষয়ে সরকারের উচ্চমহলকে অবহিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কিন্তু আট মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও আমাদের দাবিগুলোর অধিকাংশই এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।’

রাজ বলেন, ‘আমাদের প্রথম এবং প্রধান দাবি ছিল দ্রুততম সময়ে ফরিদ উদ্দিন আহমদকে উপাচার্য পদ থেকে অপসারণ করে একজন গবেষণামনা, শিক্ষাবিদ ও অবিতর্কিত ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হোক।

‘মন্ত্রী এই বিষয়ে বলেছিলেন, ভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আচার্যের কাছে উপস্থাপন করা হবে। আচার্য এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু এতদিন পরও ফরিদ উদ্দিন আহমদ শাবিপ্রবির উপাচার্য পদে বহাল আছেন।

‘সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাসমূহ অবিলম্বে প্রত্যাহার করার কথা ছিল। কিন্তু এত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও মামলাগুলো তোলা হয়নি।

‘১৬ জানুয়ারির হামলার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী সজল কুণ্ডুকে অন্তত নবম গ্রেডের একটি চাকরি এবং নগদ ক্ষতিপূরণ দেয়ার স্পষ্ট আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সজল এখনও শিক্ষামন্ত্রী কর্তৃক প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ বা চাকরি কোনোটাই পাননি। উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তিনি যে ক্যাফেটেরিয়াটি চালাতেন, সেটিও কেড়ে নেয়া হয়েছে। প্রথম কিছুদিন সরকারি তত্ত্বাবধানে সজলের নিয়মিত চেকআপের ব্যবস্থা করা হলেও তিন মাস ধরে তাও বন্ধ।’

সজলের সুচিকিৎসাসহ দাবিগুলো পূরণে প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা আবার আন্দোলনে নামবে বলে জানান রাজ।

‘জাফর স্যারও হতাশ’

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত ২৮ শিক্ষার্থী অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের আশ্বাসে ২৬ জানুয়ারি অনশন ভাঙেন।

‘সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তাদের পাঠানো হয়েছে’ জানিয়ে সেদিন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তোমাদের দাবিগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নেয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাদের আশ্বাস না পেলে আমি এখানে আসতাম না। এখন যদি তারা কথা না রাখেন, তা কেবল আমার সঙ্গে না, দেশের সকল প্রগতিশীল মানুষের সঙ্গেই মিথ্যাচার হবে।’

এমনটি জানিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার অনুরোধ করেন জাফর ইকবাল। তার আশ্বাসে অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে অনশনকারী শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখপাত্র শাহারিয়ার আবেদীন রোববার বলেন, ‘জাফর স্যার ও ইয়াসমিন ম্যাডামের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তারা নিজেরাও এ নিয়ে হতাশ। তাদেরও বারবার সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আমাদের দাবি মেনে নেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া অনেকটা এগিয়েছে বলেও সর্বশেষ তাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু আমরা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।’

এ ব্যাপারে জানতে রোববার অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

একাই আন্দোলনে সজল কুণ্ডু

১৬ জানুয়ারি পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সজল কুণ্ডু। তিনি এখনও শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন ৮০টি স্প্লিন্টার।

আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে ছিল পুলিশের গুলিতে আহত সজল কুণ্ডুকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ কোটি টাকা এবং নবম গ্রেডের একটি সরকারি চাকরি প্রদান।

আহত হওয়ার আগে সজল কুণ্ডু আইআইসিটি ভবনের ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। তার দাবি, নিয়মের দোহাই দিয়ে প্রশাসন তার কাছ থেকে এই দায়িত্বও কেড়ে নিয়েছে। এমনকি চিকিৎসা ব্যয়ও বহন করছে না।

এর ফলে তিন দফা দাবিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে একই মাঠে নেমেছেন সজল। প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়াচ্ছেন সজল।

সজলের দাবিগুলো হলো, বর্তমান এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের নামে করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা, শিক্ষার্থীদের প্রতি সরকারের প্রতিনিধিদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা এবং তার কাছ থেকে অন্যায়ভাবে কেড়ে নেওয়া ক্যাফেটেরিয়া ফিরিয়ে দেওয়া।

এ ব্যাপারে সজল বলেন, ‘আমার বাবা নেই। আমিই আমার পরিবারের উপার্জনশীল একমাত্র ব্যক্তি। আমার কাছ থেকে ক্যাফেটেরিয়া কেড়ে নিয়ে এবং চিকিৎসা ব্যয় বহন বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার জীবন হুমকিতে ফেলেছে।’

সজলের অভিযোগের ব্যাপারে শাহজালাল বিশ্ববদ্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ রোববার বিকেলে বলেন, ‘আমি এখন ঢাকা যাচ্ছি। তার অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারব না।’

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের বিষয়। আমি কিছু বলতে পারব না।’

তদন্ত শেষ হয়নি আট মাসেও, প্রত্যাহার হয়নি মামলাও

১৬ জানুয়ারি পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের ঘটনার পরিদিন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সাবেক ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদারকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে সে সময় জানিয়েছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন।

তবে ওই কমিটি আট মাসেও তদন্ত কাজ শেষ করতে পারেনি। এ ব্যাপারে রোববার তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার বলেন, ‘তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। আমরা শিক্ষার্থীদের তাদের অভিযোগুলো জানাতে বলেছিলাম। কিন্তু তাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাইনি। তবু আমরা তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পারব।’

১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করার পর শাবির ২০০ থেকে ৩০০ অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। এ ছাড়া আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের অর্থ সাহায্য করায় পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দেড় শ সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। সাবেক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী সম্প্রতি একটি আপস প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে প্রত্যাহার হয়নি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা পুলিশের মামলা।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের উত্তর শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার (অপরাধ) গৌতম দেব বলেন, ‘এই মামলাটি এখন তদন্তাধীন। মামলা প্রত্যাহারের এখতিয়ার পুলিশের নেই। এটা আদালতের বিষয়।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: