cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বন্যায় সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠকে এ আশ্বাস দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং।
এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রামীণ অবকাঠামো, পানি সম্পদ, কৃষি, শিক্ষা, পরিবহন, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে এডিবি। বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে আছে।’
বাংলাদেশের পাশে থাকায় এডিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পাশে থাকার জন্য আহবান জানান মন্ত্রী।
বৈঠকে এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং সরকারের পাশাপাশি এডিবির পক্ষ থেকে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে এডিবি সব সময় পাশে ছিল এবং যেকোনো ক্লান্তিলগ্নে পাশে থাকবে।’
সম্প্রতি প্রকাশ করা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের বন্যায় ক্ষতি নিরূপণ রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা দেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোট ২ হাজার ৭৪২ কিলোমিটার সড়ক ও ৬ কিলোমিটার ৯৭১ মিটার সেতু। এসব মেরামতে সরকারের খরচ হবে আনুমানিক ২ হাজার ৪০৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সিলেট বিভাগের সড়কে। সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলায় মোট ২ হাজার ৪৩১ কিলোমিটার সড়কে ক্ষতি হয়েছে। এই সড়কগুলো মেরামতে সম্ভাব্য ব্যয় ২ হাজার ৫৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
সিলেটে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ২ কিলোমিটার ৫৯৬ মিটার সেতুও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো মেরামতে সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৭২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সড়ক ও সেতু মেরামতে সিলেট বিভাগে খরচ হবে ২ হাজার ১২৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
ভারতের চেরাপুঞ্জিতে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে গত এপ্রিলে প্রথম দফা বন্যার মুখে পড়ে সিলেট বিভাগ। মে মাসে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। দেড় যুগের মধ্যে এটি সিলেট অঞ্চলের ভয়াবহ বন্যা হিসেবে চিহ্নিত হয় তখন। এর মধ্যেই গত ১০ জুন থেকে ফের পাহাড়ি ঢলের মুখে পড়ে সিলেট অঞ্চল। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতের ফলে ১৫ জুন থেকে শুরু হয় বন্যা। লাগাতার বন্যায় বসতির পাশাপাশি সড়ক ও সেতুর মারাত্মক ক্ষতি হয়।
একই সময় বৃষ্টিপাতের ফলে রংপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলেও বন্যার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এ কারণে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকায় সিলেটের পরেই আছে ময়মনসিংহ বিভাগ। এ বিভাগের জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণার মোট ২৬৮ কিলোমিটার সড়ক ও ৩ কিলোমিটার ৯৫৩ মিটার সেতু বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো মেরামতে সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে ১৯৪ কোটি ৭ লাখ টাকা।
রংপুর বিভাগে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের পরিমাণ ২৫ কিলোমিটার, সেখানে সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩২ মিটার। এগুলো মেরামতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে এ খাতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ কোটি ১৮ লাখ। ঢাকা বিভাগে ২ কোটি ৭৫ লাখ এবং রাজশাহীতে ৯৮ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে সড়ক ও সেতু মেরামতে।